কলকাতা: ভারতী এয়ারটেল আজ ঘোষণা করেছে যে তাদের চালু করা অ্যান্টি-ফ্রড উদ্যোগের ফলে সাইবার অপরাধের অভিযোগে উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গিয়েছে। এই প্রভাবের সত্যতা নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক(এমএইচএ)
এর অধীনে থাকা ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (আই৪সি) কর্তৃক প্রকাশিত সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক–আই৪সি-এর মতে, এয়ারটেল নেটওয়ার্কে আর্থিক ক্ষতির অঙ্কে ৬৮.৭% এবং সাইবার অপরাধ মামলায় ১৪.৩% হ্রাস রেকর্ড করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে সাইবার অপরাধ দমনে এবং গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে এয়ারটেলের ফ্রড ডিটেকশন সলিউশন কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। এমএইচএ-আই৪সি-এর এই বিশ্লেষণে সেপ্টেম্বর ২০২৪ (যখন এয়ারটেলের ফ্রড ও স্প্যাম ডিটেকশন সলিউশন চালু হয়নি) এবং জুন ২০২৫-এর মধ্যে সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত মূল সূচকের তুলনা করা হয়েছে।
এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে ভারতী এয়ারটেলের ভাইস-চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোপাল ভিট্টল বলেন, “আমাদের লক্ষ্য গ্রাহকদের স্প্যাম ও আর্থিক প্রতারণা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা। গত এক বছরে, আমাদের এআই-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক সলিউশন ৪৮.৩ বিলিয়নেরও বেশি স্প্যাম কল শনাক্ত করেছে এবং ৩.২ লক্ষ প্রতারণামূলক সন্দেহজনক লিঙ্ক ব্লক করেছে। তবে আমরা এটিকে একটি বড় সংগ্রামের পথে কেবলমাত্র ছোট্ট পদক্ষেপ বলে মনে করি। যতদিন না আমাদের নেটওয়ার্ক ডিজিটাল স্প্যাম ও স্ক্যাম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হচ্ছে, ততদিন আমরা এই ক্ষেত্রে নতুনত্ব ও বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব।”
তিনি আরও বলেন, “এমএইচএ–আই৪সি কর্তৃক ভাগ করে নেওয়া এই প্রভাব আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাদের প্রচেষ্টাকে সঠিক বলে প্রমাণ করেছে। আমি স্প্যাম ও প্রতারণা নিয়ন্ত্রণে এমএইচএ–আই৪সি এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগ (DoT)-এর উদ্যোগের প্রশংসা করি। আমরা সাইবার অপরাধ ও প্রতারণার ঝুঁকি দূরীকরণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা চালিয়ে যাব।”
সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ, দেশের ক্রমবর্ধমান স্প্যাম সমস্যার সমাধানে কোম্পানি ভারতের প্রথম নেটওয়ার্ক-ভিত্তিক এআই-পাওয়ার্ড স্প্যাম ডিটেকশন সলিউশন চালু করে। এই পদক্ষেপ স্প্যাম কল ও মেসেজ সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি দেশের প্রথম সমাধান, যা গ্রাহকদের সন্দেহজনক স্প্যাম কল ও এসএমএস সম্পর্কে রিয়েল-টাইম সতর্কতা দেয়।
এরপর, মে ২০২৫-এ, কোম্পানি বিশ্বের প্রথম সমাধান চালু করে যা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা যেকোনো যোগাযোগের মাধ্যমে থাকা ক্ষতিকারক (malicious) লিঙ্ক রিয়েল-টাইমে শনাক্ত করে ব্লক করে। এই সুরক্ষিত সেবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একীভূত করা হয়েছে এবং এয়ারটেলের সমস্ত মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড গ্রাহকদের জন্য কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই সক্রিয় করা হয়েছে।
আই৪সি-এর বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল প্রমাণ করে যে এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য যে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে, তা কতটা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।