কলকাতা: আজ আবুধাবিতে এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রত্যাশিত লড়াইয়ের আগে, পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শোয়েব মালিক প্রকাশ করেছেন যে কীভাবে ভারতকে হারানো সম্ভব। তার মতে, জয়ের মূল চাবিকাঠি কেবল একটি জিনিস, বোলারদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্স।
ভারত এবার তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে টুর্নামেন্টে প্রবেশ করেছে, যেখানে চারজন ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর বেশি। এত শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পরিকল্পনা সম্পর্কে মালিক বলেন, “টস কারও হাতে নেই। তবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সুযোগ হবে যদি তারা তিন থেকে চারজন শীর্ষ ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে দ্রুত আউট করতে পারে এবং তাদের রান করতে না দেয়। এর ফলে ভারতের ইনিংস ১৬০-১৫০ রানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে। আমার মতে, এটি এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিতে পারে।”
তবে, মালিক এখানেই থেমে থাকেননি। তার মতে, যদি পাকিস্তানের ফাস্ট বোলাররা শুরুতে সফল না হন, তাহলে স্পিন আক্রমণকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বিশেষ করে মাঝের ওভারে সুফিয়ান মুকিম এবং আবরার আহমেদের ভূমিকার উপর জোর দেন। মালিকের ভাষায়, ‘দ্বিতীয় পরিস্থিতি হলো, সুফিয়ান মুকিম এবং আবরার আহমেদ যদি মাঝের ওভারে তিনটি করে উইকেট নিতে পারেন, তাহলেই পাকিস্তানের জয়ের বড় সম্ভাবনা থাকবে। কারণ ভারত যদি ব্যাটিং অর্ডারে থাকে, তাহলে তারা আর কখনও খেলায় ফিরতে পারবে না।’
ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দলই তাদের প্রথম ম্যাচগুলো তুঙ্গে। ভারত সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে, আর পাকিস্তান অভিষেককারী ওমানকে ৯৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে। ফলস্বরূপ, উভয় দলের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে।
তবে পরিসংখ্যানের দিক থেকে পাকিস্তান আশাবাদী হওয়ার কারণও খুঁজে পেতে পারে। এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে শেষবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ২০২২ সালে, যেখানে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে একপেশে ১০ উইকেটে জিতেছিল। সেই স্মৃতি এবারও পাকিস্তানের জন্য অতিরিক্ত অনুপ্রেরণা হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি এমন একটি যেখানে কেউ ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না, এবং শোয়েব মালিকের কৌশল পাকিস্তানি দলকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য একটি রোডম্যাপ দিতে পারে। এখন দেখার বিষয় হল পাকিস্তান ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে থামাতে কোন অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, তা সে শাহীন শাহ আফ্রিদির গতি হোক বা সুফিয়ান-আবরারের স্পিন।