শারদ সৃজনী সম্মান ও খুশি উদ্যোগ

IMG-20250907-WA0052

সৃজনশীলতা ও সহমর্মিতার উদ্‌যাপন এই দুর্গোৎসবে

কলকাতা: দুর্গাপূজা, বাংলার সংস্কৃতির পরিচয়ের হৃদস্পন্দন, শুধুমাত্র একটি উৎসব নয় – এটি এক মহোৎসব, যেখানে একত্রিত হয় সমবেত সৃজনশীলতা, শিল্পকলার মহিমা এবং সামষ্টিক চেতনা। এই ভাবনাকেই স্বীকৃতি জানিয়ে, শারদ সৃজনী সম্মান অব্যাহত রেখেছে পূজা সৃজনশীলতায় শ্রেষ্ঠত্বকে সম্মান জানানোর যাত্রা এবং হাত মিলিয়েছে ‘খুশি – এ হেল্পিং হ্যান্ড’, যা সারা ভারতের যুবশক্তি গড়ে তোলা ও বঞ্চিত জীবনের পাশে দাঁড়ানোর এক আন্দোলন।
শারদ সৃজনী সম্মান: সৃজনশীলতায় শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি:
২০১৩ সালে সূচনা থেকে শারদ সৃজনী সম্মান দুর্গোৎসবের শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানকে সম্মান জানিয়ে আসছে—অলঙ্কৃত প্যান্ডেল ও প্রতিমা, হৃদয়স্পর্শী সামাজিক বার্তা এবং সাংস্কৃতিক অভিনবত্ব থেকে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি বিভাগে এই সম্মান প্রদান করা হতো—শিল্পকলা, বার্তা, কনসেপ্ট, সামাজিক বার্তা এবং সামগ্রিক শ্রেষ্ঠত্ব। এবার থেকে যুক্ত হয়েছে আরও দুটি নতুন বিভাগ:

* শারদ সৃজনী চিত্রলেখন শিল্পী (গ্রাফিক ডিজাইনার) – পূজা প্রচারণা নকশায় সৃজনশীলতার জন্য।

* শারদ সৃজনী বিশেষ জুরি পুরস্কার – দুর্গোৎসবে চিরন্তন ভক্তি ও শিল্পকলাকে সম্মান জানাতে।


প্রথমবারের মতো এই সম্মানের দ্বার খুলছে আবাসিক কমপ্লেক্সগুলির জন্যও, যাতে হাউজিং সোসাইটির পূজাগুলো বৃহত্তর মঞ্চে তাদের সৃজনশীলতা প্রদর্শন করতে পারে। ঐতিহ্যকে উদ্‌যাপনের পাশাপাশি আধুনিকতাকেও স্বাগত জানিয়ে, শারদ সৃজনী সম্মান রয়ে গেছে ভক্তি ও শিল্পকলার এক অনন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।
খুশি: যুবশক্তি গড়ে তুলুন, ভারত গড়ে তুলুন
এই সৃজনশীলতার উৎসবকে সম্পূর্ণ করছে ‘খুশি’, যা ‘ইন্ডিয়া গ্রিনস রিয়েলিটি প্রাইভেট লিমিটেড’ এর উদ্যোগে শুরু হওয়া এক স্বেচ্ছাসেবী আন্দোলন। শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে সমাজের বঞ্চিত অংশের পাশে দাঁড়ানোই এর লক্ষ্য।
বিগত বছরগুলিতে খুশি বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে – উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ ত্রাণ থেকে শুরু করে কোভিড-১৯ লকডাউনে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত। একটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি,   “আমার বাংলা আবার সবুজ হোক”, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পর কলকাতায় প্রায় ৫০,০০০ গাছ ও চারাগাছ রোপণের মাধ্যমে শহরে আবারও পরিবেশ ও সবুজ ফিরিয়ে আনে।
এই বছর, খুশি নিয়ে আসছে নতুন উদ্যোগ **“উন্মেষ”**, যার লক্ষ্য শিক্ষা, খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও অন্যান্য প্রতিভা সম্পন্ন তরুণদের খুঁজে বের করে তাদেরকে আর্থিক, মানসিক ও চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়া পর্যন্ত পাশে থাকা।
শিল্প, সংস্কৃতি ও সহমর্মিতার সম্মিলিত উদ্‌যাপন:
শারদ সৃজনী সম্মান ও খুশির এই মিলন দুর্গোৎসবের দ্বৈত চেতনার প্রতিফলন – যেখানে সৃজনশীলতা সমাজকে আলোকিত করে এবং সহমর্মিতা ভবিষ্যৎকে গড়ে তোলে। ঐতিহ্য, নবপ্রবর্তন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার শক্তিকে একত্রিত করে এই দুটি উদ্যোগ আগামী দিনের উজ্জ্বল পথ রচনা করছে।
আমাদের স্পনসর, সহযোগী ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ, যাদের অক্লান্ত সমর্থনে শিল্প ও মানবতার এই উদ্‌যাপন সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমরা এই যাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ ও ফলপ্রসূ করে তুলতে আশাবাদী।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement