শিলিগুড়ি: সিকিম এ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখনো আটকে পড়ে আছেন, বেশ কয়েক শো পর্যটক। এবং তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
গত এক সপ্তাহ ধরে সিকিমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিপদে ফেলে দিয়েছে বহু পর্যটকদের। অনেক পর্যটকই ভেবেছিলেন এই সময় সাধারণত কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে ঠিক তার উল্টো। পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীর সাথে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় মানুষেরা। শতকরা ৭৫ শতাংশ পর্যটক ফিরে গেলেও এখনও পর্যন্ত আজকে আছেন বহু পর্যটক, ফিরতে না পারায় সমস্যা বেড়েছে অনেকের। এর উপরে আর্থিক সমস্যা তো আছেই, সুযোগ বুঝে দর বাড়াচ্ছেন অনেকে। কোনভাবে পর্যটকেরা চাইছেন শিলিগুড়িতে ফিরে আসতে। তাহলে অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়ে যাবে সবকিছু। অনেক পর্যটকের আত্মীয়-স্বজনরা শিলিগুড়িতে চলে এসেছেন তাদের নিয়ে যেতে। পর্যটকেরা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর সহায়তা যদি না পাওয়া যেত, তবে তাদের ফিরে যাওয়া মুশকিল হয়ে যেত। এমনিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন আর নেই ঠিকই তবু আর কেউ ফিরতে চাইছেন না সিকিমে, অন্তত এই মুহূর্তে। হঠাৎ করে এই ধরনের আবহাওয়া আশা করেননি তারা, জানিয়েছেন পর্যটকেরা। টানা বৃষ্টিতে, বিশাল ধস নামলো সেবকে। সেবকের বাগপুল এবং কালি ঝোড়ার মাঝে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নামলো বিশাল ধস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানকার যানবাহন পরিষেবা। স্থানীয় মানুষ এবং সেনাবাহিনীর লোকজনরা চেষ্টা করছে অবস্থা স্বাভাবিক করে আনার তবে সেটা কতদূর সম্ভব হবে এবং কত দ্রুত সেটা বলা যাচ্ছে না। গত পাঁচ দিন জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকার পরে খুলে গেলেও গতকাল থেকে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এ যানবাহন চলছে না দুপুরের পর থেকেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সমস্ত ধরনের পরিষেবা। এরপরে টানা বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে, কাজেই উদ্ধারকারীরাও সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছেন। টানা বৃষ্টিতে সেবক কালিঝোড়া যান চলাচল একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। আগামী কয়েক দিন এই ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যাবেলার দিকে পাথর ধসে পড়ার একটা প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন এই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা।