মুম্বই: পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন আরও বেড়েছে, বই কমেনি! ভারতীয় নাগরিকদের ধর্ম দেখে নির্বিচারে হত্যা করার ঘটনায় ‘সাম্প্রদায়িক বিভাজন’ নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল নেটপাড়া। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন করে ভারতের মনে ক্ষোভ-বিদ্বেষের সঞ্চার হয়েছে। যার রেশ পড়েছে দুই দেশের বিনোদুনিয়াতেও। ভারতীয় সিনেজগতে পাকিস্তানি শিল্পীদের চিরতরে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিনে সংগঠন। যার জেরে এদেশে মুক্তি পায়নি ফাওয়াদ খানের আবির গুলাল। অন্যদিকে একাধিক পাকশিল্পী থাকায় ভারতে আটকে দেওয়া হয়েছে দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের ‘সর্দারজি ৩’। সেকারণে অবশ্য কম রোষানলে পড়তে হয়নি পাঞ্জাবি পপস্টারকে। এবার বলিউড ফেডারেশনের নিশানায় জাভেদ আলি। ৩১ আগস্ট ‘দুবাই অপেরা’তে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জাভেদের। তার প্রাক্কালেই ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ-এর তরফে গায়ককে একটি চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এফডাব্লুআইসিই-এর দাবি, দুবাইয়ের কনসার্টে উস্তাদ গোলাম আলি এবং আমির গোলাম আলিরাও যোগ দিচ্ছেন। ওই একই মঞ্চে ভারতীয় গায়ক হিসেবে জাভেদ আলি যোগ দেওয়ার অর্থ বলিউড সংগঠনের নিয়মের বিরুদ্ধাচরণ করা। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর ফেডারেশনের তরফে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল যে, ভবিষ্যতে কেউ পাক মুলুকের শিল্পীর সঙ্গে কাজ করলে তাঁকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা হবে। সেকথাই জাভেদকে পাঠানো চিঠিতে মনে করিয়ে দিয়েছে এফডাব্লুআইসিই। শুধু তাই নয়, গায়ককে আবারও তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখার কথাও বলা হয়েছে। তার জবাবেই ফেডারেশনকে জাভেদ আলি জানিয়েছেন, “আমি উস্তাদ গোলাম আলি, আমির গোলাম আলি এবং অন্য কোনও পাক শিল্পীর সঙ্গে পারফর্ম করছি না। আমার মনে হয় অনুষ্ঠানের ধরন সম্পর্কে একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।”











