দিনহাটা: একটানা কয়েক মাস উৎকর্ষ বাংলায় ট্রেনিং শেষে বুধবার পরীক্ষা চলাকালীন অনিয়মের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী চড়াও হয়ে উঠলো। মোট ৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জনের নাম পরীক্ষায় বসার জন্য এলেও বাকি নয় জনের নাম না আসায় এদিন তারা প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ এই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পর্যন্ত ছিড়ে দেন। তারা এই পরীক্ষা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আনেন। দিনহাটা শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডে বাবুপাড়া এলাকায় উৎকর্ষ বাংলায় ধূপকাঠি তৈরীর জন্য গত চার মাস ধরে ট্রেনিং নেয় ৩০ জন মহিলা। জানা গিয়েছে,ট্রেনিং শেষে বুধবার পরীক্ষার দিন ২১ জন পরীক্ষায় বসলে ও বাকি ৯ জনের নাম না আসায় এরা পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে নাম না আসার বিষয়টি জানতে চান। এরপরেই শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি। এমনকি দুই পক্ষের মহিলাদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এরপর নাম না আসা পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র পর্যন্ত ছিঁড়ে দেয়। মহিলা শিল্প চেতনা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বাসন্তী বর্মণ বলেন,”উৎকর্ষ বাংলার প্রজেক্ট জেলা শাসকের মাধ্যমে মহকুমা শাসকের অফিসে এসেছে। এই প্রশিক্ষনে অনেক মহিলা অংশ নিয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই মহিলারা সার্টিফিকেট পাবে এবং নিজের পায়ে দাঁড়াবার সুযোগ পাবে। প্রশিক্ষণ শেষে দেখা গেল পরীক্ষায় এদের অনেকেরই নাম নেই। যারা ঠিকমত প্রশিক্ষণ নেয় নাই তাদের অনেককে পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়েই প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরা অনেকেই।এই ঘটনাকে ঘিরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ট্রেনিং ক্যাম্পের প্রশিক্ষণ নেওয়া পার্বতী দে সহ কয়েকজনের অভিযোগ, কয়েকমাস ধরে আমরা প্রশিক্ষণ দেওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষার তালিকায় আমাদের নাম আসেনি। অথচ যারা ট্রেনিং নেয়নি তাদের পরীক্ষার তালিকায় নাম এসেছে। নিয়ম না মেনে এই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল।জানা গিয়েছে, মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে সেখানে ধূপকাঠি তৈরীর ট্রেনিং দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের অনুমোদনে ট্যাংরা বীণাপাণি সেবাপথ ওই ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। সংস্থার সম্পাদক শুভেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “উৎকর্ষ বাংলার ট্রেনিং শেষে এ দিন পরীক্ষার কথা ছিল। কিছু শিক্ষার্থী ছিল তারা একদম ক্লাস করেনি। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও তারা ক্লাস করতে চাইনি। তারা এসে পরীক্ষা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের নিয়ম শিক্ষার্থীকে ২৪০ ঘন্টা প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে যারা করেনি তারা পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায়নি। এদিন ২১ জন পরীক্ষা দিচ্ছিল। এই শিক্ষার্থীদের কয়েকবার বোঝানো হয়েছে। তারপরেও তারা সেসব না শুনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। প্রশ্নপত্র ছিড়ে দেয়।মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বলেন,”এই প্রশিক্ষণে নিয়ম অনুযায়ী যাদের উপস্থিতি কম রয়েছে এদের মধ্যে কয়েকজন পরীক্ষায় বসতে পারেনি। তারাই পরীক্ষা চলাকালীন গিয়ে সেখানে ঝামেলা করে। পরে অবশ্য পরীক্ষা হয়েছে।