অসমে বাঙালি ‘হেনস্তা’য় ক্ষিপ্ত মমতা, পাল্টা জবাব হেমন্ত বিশ্বশর্মার

IMG-20250719-WA0102

ফের বাঙালি আবেগে শান। এবার অসমে বাঙালি হেনস্তার অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তিনি। যাঁরা মাতৃভাষাকে ভালোবাসেন, তাঁদের পাশে থাকার বার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “দেশে দ্বিতীয় কথ্য ভাষা হল বাংলা। অসমেও তাই। যাঁরা সমস্ত ভাষা ও ধর্মকে সম্মান করেন তাঁদের উপর শুধুমাত্র মাতৃভাষার জন্য হেনস্তা করা অসাংবিধানিক এবং বৈষম্যমূলক আচরণ। অসমে বিজেপির বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। অসমবাসী রুখে দাঁড়ান। যাঁরা মাতৃভাষার জন্য, নিজের পরিচয়রক্ষার লড়াই করছেন আমি তাঁদের মতো প্রত্যেক নির্ভীক মানষের পাশে আছি। পালটা জবাব দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর জবাব, অনুপ্রবেশকারী সংখ্যালঘুদের জন্য সীমান্ত লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের বসবাসই প্রায় অস্তিত্ব সংকটে। হেনস্তা নয়, অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, অসম ভাষার ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে লড়ছে না। আমাদের লড়াই বেআইনি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে। আমাদের লড়াই নিজেদের ভাষা-সংস্কৃতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার। তিনি বলছেন, “প্রিয় দিদি, অসমে আমরা নিজেদের মানুষের বিরুদ্ধে লড়ছি না। আমাদের লড়াই বেআইনি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যা বিপজ্জনকভাবে জনবিন্যাস বদলে দিচ্ছে।” অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের একাধিক জেলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু হওয়ার পথে। হিমন্তর দাবি, এটা রাজনীতির বিষয়ই নয়। আমরা আমাদের ভূমি, সংস্কৃতি এবং অস্মিতা রক্ষা করার জন্য লড়াই করছি। তাঁর বক্তব্য, “আমরা ভাষার ভিত্তিতে মানুষের বিভেদ করি না। এখানে অসমীয়া, বাংলা, হিন্দি, বোড়ো সব ভাষার সহাবস্থান রয়েছে।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী এরপরই পালটা নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রীকে। মমতাকে উদ্দেশ করে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, অসম যেখানে বেআইনি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে অসমের অস্মিতার জন্য লড়ছি। আপনি সেখানে বাঙালি অস্মিতার সঙ্গে আপস করছেন। শুধু ভোটব্যাঙ্কের জন্য অনুপ্রবেশে উৎসাহ দিচ্ছেন। ভোটব্যাঙ্কের জন্য একটি ধর্মের তোষণ করে চলেছেন। হিমন্তর দাবি, অনুপ্রবেশ নিয়ে এই নীরবতা জাতীয় সংহতির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাঁদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শুক্রবার দুর্গাপুরের সভামঞ্চ থেকে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে বা যারা অনুপ্রবেশ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নেবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement