সপ্তর্ষি সিংহ
রবিবার রাতে খিদিরপুরের একটি বাণিজ্যিক বাজারের ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লেগে যায়। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বহু ব্যবসায়ী।
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ লক্ষ টাকা ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা কাঁচামাল কেনার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সঙ্গে তাদের বিকল্প জায়গায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দোকান করে দেওয়ার কথাও বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরদিন মঙ্গলবারই পুড়ে যাওয়া খিদিরপুর মার্কেটে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং, অর্জুন সিং। খিদিরপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি জমি রক্ষা আন্দোলনে ডক্টরেট।” তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এটি কোনও দুর্ঘটনা নয়। এটা একেবারে পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ। এখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত হওয়া দরকার। রাজ্যে এখন গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।” শুভেন্দু বলেন, “সরকারি কোনও পদক্ষেপ নেই, সিস্টেম ভেঙে পড়েছে। টালিগঞ্জ-ঢাকুরিয়ার জমিও বিক্রি করে দিচ্ছে। খালি শপিং মল, ফ্ল্যাট, আর গরিব মানুষের উচ্ছেদ।” ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এও জানান, তাঁরা হকের দাবিতে আন্দোলনে নামলে তিনি তাঁদের পাশে রয়েছেন। শুভেন্দুর দাবি, “এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রাজ্যের জনগণ আজ অসহায়। অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনায়ও তারা নিরাপদ নয়।” তিনি বলেন, “টিএমসি এখন ‘টাকা মারা কোম্পানি’। কলকাতার ভালো ভালো জায়গায় আগুন লাগিয়ে বেচে দাও, আর মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন ‘জায়গা ঠিক হয়েছে, এক লাখ দিলাম।’ কী হবে ওই জায়গায়? শপিং মল, বিউটি পার্লার। গরিব মানুষ তাড়িয়ে দাও।”