হল অফ ফেমে তারকাদের ভিড়

1749543946446

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সোমবার এক জমকালো অনুষ্ঠানে ক্রিকেটের ইতিহাস গড়া সাতজন কিংবদন্তিকে আইসিসি হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। এই বছর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া খেলোয়াড়রা হলেন—ম্যাথু হেডেন, হাশিম আমলা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, গ্রেম স্মিথ, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, সানা মীর এবং সারাহ টেলর। লন্ডনের ঐতিহাসিক অ্যাবে রোড স্টুডিওতে আয়োজিত এই আয়োজনে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এই নবনির্বাচিতদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি হল অব ফেমের মাধ্যমে আমরা ক্রিকেটের ইতিহাস গড়া সেরা খেলোয়াড়দের শ্রদ্ধা জানাই, যারা তাদের অসাধারণ কেরিয়ারের মাধ্যমে খেলার ঐতিহ্য গড়েছেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী ওপেনার হেডেন তার শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের কারণে বিশ্বের সেরা বোলারদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছিলেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি টেস্টে অজিদের রাজত্বে বড় অবদান ছিল এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের। হল অব ফেইমে জায়গা পেয়ে হেডেন বলেন, ‘আমার অনেক আদর্শের নাম আছে এই তালিকায়, তাদের পাশে নিজের নাম দেখতে পাওয়া অভাবনীয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান হাসিম আমলা ছিলেন দলের ভরসার জায়গা। তিনিই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন (৩১১*)। আমলা বলেন, ‘এই স্বীকৃতি পাওয়া অত্যন্ত সম্মানের, বিশেষ করে আমার প্রিয় বন্ধু গ্রায়েম স্মিথের সঙ্গে একই বছর অন্তর্ভুক্তি – এটি বিশেষ অনুভূতি।’‌ ভারতের সফলতম অধিনায়ক ধোনি তিনটি আইসিসি শিরোপা (টি২০ বিশ্বকাপ ২০০৭, ওডিআই বিশ্বকাপ ২০১১, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৩) জিতে ইতিহাস গড়েছেন। ধোনি বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আমার জীবনের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত, যা আমি চিরকাল লালন করব।’ গ্রেম স্মিথ মাত্র ২২ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব পান এবং এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এই সম্মান শুধুমাত্র আমার নয়, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটেরও জয়।’ বিশ্বমানের বাঁহাতি স্পিনার ভেট্টোরি ছিলেন নিউজিল্যান্ডের জন্য অমূল্য সম্পদ। টেস্টে চার হাজারের বেশি রান এবং ৩০০’র বেশি উইকেট পাওয়াদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজনের একজন তিনি। হল অব ফেমে জায়গা পেয়ে তিনি বলেন, ‘এই তালিকায় জায়গা পেয়ে আমি গর্বিত, আবেগাপ্লুত।’ পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটের পথিকৃৎ সানা মীর হলেন প্রথম পাকিস্তানি মহিলা যিনি এই স্বীকৃতি পেলেন। তিনি বলেন, ‘একসময় স্বপ্ন দেখতাম যেন আমাদের দেশে মহিলাদের একটি ক্রিকেট দল হয়, সে স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’ বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার ব্যাটার সারাহ ছিলেন ইংল্যান্ডের জয়ের গুরুত্বপূর্ণ কুশলী। তিনি বলেন, ‘এই স্বীকৃতি পাওয়া আমার জীবনের অন্যতম বড় গর্বের মুহূর্ত।’

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement