প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

IMG-20250517-WA0004

নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনায় বদলা নিতে পাকিস্তানে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। তারপরেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত তীব্র হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। এই আবহে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই পাল্টা হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। ভারতের অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে সামনে ধুলোয় গড়াগড়ি খায় পাক সেনার প্রতিটি অস্ত্র। চিনের তৈরি যুদ্ধবিমান হোক বা তুরস্কের ড্রোন, সবই ভোঁতা ভারতীয় প্রতিরক্ষণের সামনে। তবে এই পরিস্থিতিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্র। তাই দেশের প্রতিরক্ষা খাতে আরও ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করতে চলেছে ভারত। কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলা না-হলেও একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। মূলত সমরাস্ত্র এবং আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি কেনার ক্ষেত্রেই এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে সূত্রের খবর। পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের পরেই ভারতের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের জন্য অতিরিক্ত বাজেট পেশ করা হতে পারে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। গত বাজেটের তুলনায় চলতি বছরের বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.৫৩ শতাংশ। অবশ্য গত বছরে প্রতিরক্ষা বাজেট প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে বেড়েছে বরাদ্দ। ২০১৪-১৫ সালে প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ করা হয়েছিল ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকা। বর্তমানে সবথেকে বেশি বরাদ্দ করা হয় প্রতিরক্ষাতেই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট বাজেটে ১৩ শতাংশ বরাদ্দ করা হয় সামরিক খাতে। ভারত-পাক সংঘাতের আবহে নতুন করে জোর দেওয়া হচ্ছে প্রতিরক্ষায়। ফলে বাড়তি বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে এখানেই। অপারেশন সিন্দুরের পর ভারতীয় ডিফেন্স সিস্টেমের তুলনা টানা হচ্ছে ইজরায়েলের জনপ্রিয় ডিফেন্স সিস্টেম আয়রন ডোম-এর সঙ্গে। রাশিয়ান প্রযুক্তি এস-৪০০- এর সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় পদ্ধতিতে আকাশ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও তৈরি করেছে ভারত। দেশীয় পদ্ধতিতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি অর্থাৎ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-তে জোর দেওয়ার জন্যেও বাড়ছে বরাদ্দ।
পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সেনাঘাঁটি ধ্বংস করতে অন্য দেশ থেকে কেনা আধুনিক সমরাস্ত্রের পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্রেও আস্থা রেখেছে ভারত। আবার পাক হামলা রুখতে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে রাশিয়া থেকে কেনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এস-৪০০। এই ধরণের সমরাস্ত্রের আরও প্রবোজন রয়েছে বলে মনে করছে ভারত। আর সেই কারণেই প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি হতে চলেছে বলে খবর।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement