তারক সিং পাতিপুকুর এলাকায় কেএমডিএ-এর কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী পড়ে রয়েছে। এই বিষয়ে আমার তারক সিং-এর সঙ্গে কথা হয়েছে। নির্মাণ সংস্থা যাতে কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিনিয়াররা যাতে সাইট ক্লিয়ারেন্স করে দেয়, সেই বিষয়ে শীঘ্রই এসওপি জারি করা হবে। শুক্রবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে মেয়র আরও বলেন, রাস্তায় যাতে কোনও সামগ্রী না পড়ে থাকে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজের সঙ্গে পুরসভা তথা মেয়রের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রচেষ্টাও থাকতে পারে বলে মত তার। তিনি আরও বলেন, পাতিপুকুর এলাকায় কেএমডিএ’র সাইটে ঠিক কি হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। কোনও নির্মাণ এলাকায় কোনও ধরণের সামগ্রী পড়ে থাকলে তার দায় সেই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের। জন বারলার বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষের সাথে কাজ করি, মানুষের মাঝখানে থাকি। ও থাকবে আদালতে, আমরা থাকব মানুষের মাঝখানে। বৃহস্পতিবার এসএসসি ভবনের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, বিকাশ ভবনে যারা চাকরি করেন, সেই কর্মীরা তো বেরোবে। চাকরিহারারা রাস্তা আটকে দেওয়ায় অফিসের কর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। চাকরিহারাদের বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার রয়েছে। কিন্তু কাউকে আটকানোর অধিকার তাদের নেই। ওদের আন্দোলন করতে হলে যে কোনও ফাঁকা জায়গায় গিয়ে আন্দোলন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেউ বাধা দেয়নি এবং দেবে না। কিন্তু জনজীবন অবরুদ্ধ করে প্রতিদিন যে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। পহেলগাঁও হামলার পর অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সৌগত রায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, সৌগত রায় কি বলেছেন, তা বলতে পারব না। আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের তিন বাহিনীকে নিয়ে গর্বিত। আমরা শুয়ে আছি, কারণ সীমান্তে ওনারা প্রাণ দিচ্ছেন। আমরা দেশের জন্য গর্বিত। মেয়র আরও বলেন, সবুজায়নের জন্য এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সে কলকাতা উন্নত হয়েছে। তাই ১৪ কোটি টাকা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে।বিতর্কের আবহে এবার সব্যসাচীর পাশে দাঁড়ালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই ঘটনায় ফিরহাদের বক্তব্য, দাবি, সব্যসাচী ওই এলাকার কাউন্সিলর। লাগাতার অবরোধের জেরে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছে। তা জানতে পেরেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। ফিরহাদ বলেন, ‘সব্যসাচী দত্ত ওখানকার কাউন্সিলর। ওখানকার মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলরকে আসতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দারাই ক্ষোভে ফুঁসছেন রাস্তা আটকানোর বিরুদ্ধে, আর সব্যসাচী দত্ত চুপ করে বসে থাকবে? স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াবে না? তাঁদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে না?’
একইসঙ্গে সাংবাদিকদের হেনস্থা নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় ফিরহাদকে। সাংবাদিক হেনস্থা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘রাজনৈতিক নেতারা সাংবাদিকদের হেনস্থা করে না। বরং সাংবাদিকরা রাজনৈতিক নেতা এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে হেনস্থা করে থাকে। ভুল তথ্য দিয়ে বারবার হেনস্থা করে।