জঙ্গিদের শাস্তির হুঙ্কার মোদীর

IMG-20250424-WA0250

পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় জঙ্গিদের কড়া শাস্তির দাবি ক্রমশই জোরালো হচ্ছে ভারতে। আর এই আবহেই জঙ্গি হামলার ঘটনায় অপরাধীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হুঙ্কার, সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে কল্পনাতীত শাস্তি দেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনীতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানও। বক্তব্যের শুরুতেই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নীরবতা পালন করেন মোদী। তারপরেই জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে হুঙ্কার ছেড়ে মোদী বলেন, “যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী এই হামলা ঘটিয়েছে এবং যারা এই হামলার ষড়যন্ত্র করেছে, তারা এমন শাস্তি পাবে, যা তাদের কল্পনারও অতীত।” মোদী বলেন, “১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভাঙবে।” তিনি বলেন, “হামলা কেবল নিরীহ পর্যটকদের উপরেই করা হয়নি। দেশের শত্রুরা ভারতের আত্মার উপর হামলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। ”জম্মু কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তাঁদের বেছে বেছে গুলি করে মারা হয়। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক। ২৬/১১ মুম্বাই হামলার পর সাধারণ নাগরিকদের টার্গেট করে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে বিহারের সভা থেকে মোদী বলেন, ‘কেউ নিজের ছেলে, কেউ নিজের ভাইকে, কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন। ওঁদের মধ্যে কেউ বাংলার, কেউ কর্নাটকের, কেউ মহারাষ্ট্রের, কেউ গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন। সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের দেশের আত্মাকে আক্রমণ করেছে।’ পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে বার্তা দিতে হিন্দি ভাষণ ছেড়ে হঠাৎ করেই ইংরেজিতে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “আজ বিহারের মাটি থেকে আমি গোটা বিশ্বকে বলতে চাই, ভারত অবশ্যই প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদীকে খুঁজে বার করবে। তাদের চিহ্নিত করবে এবং শাস্তি দেবে। শাস্তি দেবে তাদের মদতদাতাদেরও।” মোদী বলেন, কোটি কোটি ভারতবাসী আজ শোকগ্রস্ত। নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে গোটা দেশ। যাঁদের চিকিৎসা চলছে, তাঁরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, তার জন্য সরকার সব রকম চেষ্টা করছে।” একই সঙ্গে মোদী বলেন, “এই জঙ্গি হামলায় কেউ পুত্রকে হারিয়েছেন, কেউ ভাইকে হারিয়েছেন, কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন। তাঁদের কেউ বাংলায় কথা বলতেন, কেউ কন্নড়ে কথা বলতেন, কেউ কেউ ছিলেন মরাঠি, আবার কেউ বিহারের সন্তান। আজ তাঁদের মৃত্যুতে কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী— আমাদের শোক এবং রাগ মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে।”ইতিমধ্যেই, এই জঙ্গি হামলার সঙ্গে পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের যোগ নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। পাকিস্তানের সঙ্গে সব রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক একে একে ছিন্ন করছে ভারত। জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতেরও আবেদন করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। মোদী জনসভা থেকে বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভেঙে দেওয়া হবে। আমি বিহারের মাটি থেকে শপথ নিচ্ছি, সমগ্র বিশ্বকে বলছি, ভারত সমস্ত সন্ত্রাসবাদীদের ও তাদের সহযোগীদের খুঁজবে, চিহ্নিত করবে এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে।’

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement