স্কুলে গরমের ছুটি ৩০ এপ্রিল থেকে

IMG-20250403-WA0291

ক্রমাগত বেড়ে চলেছে গরম। আর হাসফাঁস গরমের কারণেই রাজ্যের স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হচ্ছে। ৩০ এপ্রিল থেকেই প্রাইমারি এবং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে যাবে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে হেতু গরম বেশি, সেই কারণে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কত দিন পর্যন্ত স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি থাকবে, তা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যেহেতু গরমটা বেশি, তাই ৩০ এপ্রিল থেকেই প্রাইমারি এবং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে যাবে। এরমধ্যেও ১০ এপ্রিল ছুটি আছে। মহাবীর জৈনের জন্মদিন। ১৪ ও ১৫ তারিখে পয়লা বৈশাখ। অনেকগুলো রবিবার আছে। কাজেই হয়ত ৩০ এপ্রিলের মধ্যেও ১২-১৩ দিন ছুটির মধ্যে বেরিয়ে যাবে। আগে ছুটি হত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। যেহেতু গরম ওয়েদারটা বেশি, বাচ্চাদের কষ্ট হয়, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা শিক্ষামন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন যে, ছুটিটা ৩০ এপ্রিল থেকে পড়বে। যাতে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের কোনও অসুবিধা না হয়।” কোনও লিখিত ঘোষণা না-হলেও সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে গরমের ছুটি এ বছর ১১ দিন থাকার কথা ছিল সরকারি স্কুলগুলিতে। ১২ মে থেকে সেই ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চৈত্রের মাঝামাঝি সময় থেকেই রাজ্যে অস্বস্থিকর গরম পড়েছে। দিনে প্রখর রোদের কারণে স্কুলে যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। এই আবহে গত বছরের মতো এ বারও সেই ছুটি এগিয়ে আনার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আগে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গরমের ছুটি হত। এখন যে হেতু গরম পড়েছে, তাই বাচ্চাদের কষ্ট হয়। সে কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩০ এপ্রিল থেকে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়বে, যাতে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকদের সমস্যা না হয়।’’ মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, ৩০ এপ্রিল গরমের ছুটি পড়ার আগেও বেশ কিছু ছুটি পাবে পড়ুয়ারা। ১০ এপ্রিল মহাবীর জয়ন্তী, ১৪-১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের ছুটি রয়েছে স্কুলগুলিতে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মাঝে অনেকগুলি রবিবার রয়েছে। মমতার কথায়, ‘‘৩০ এপ্রিলের মধ্যেই ১২ থেকে ১৩ দিন ছুটি মিলবে।’’ গত বছর সরকারি স্কুলগুলিতে ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত ছিল গরমের ছুটি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে ২১ এপ্রিলই ছুটি পড়ে যায়। ছুটির মেয়াদ শেষ হয় ২ জুন। অর্থাৎ প্রায় দু’মাস ছিল গরমের ছুটি। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ ছিল যে, প্রায় দু’মাস স্কুল ছুটি থাকার কারণে সারা বছরের পাঠ্যক্রম শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ বার ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে গরমের ছুটি।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement