কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল হওয়ায় তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রায় ঘোষণার পর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। তবুও মনে কিছু প্রশ্ন জাগে। সম্প্রতি এক বিচারপতির বাড়ি থেকে নগদ ১৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। সেই বিচারপতিকে বদলি করা হয়েছে। এদেরও (চাকরিহারাদের) তো বদলির নির্দেশ দেওয়া যেতে পারত!’
তিনি বলেন, ওরা এসব করে বাংলার শিক্ষার মান নামিয়ে দিতে চাইছে না তো! এভাবে কয়েকলক্ষ পরিবারকে অচল করে দিল। এই পরিবারগুলির কোন অঘটন ঘটলে তার দায়ভার সিপিএম বিজেপিকে নিতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা? বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কোলাপ্স করতে চাইছে সিপিএম। সিপিএম চিরকুটে চাকরি দিতেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি যদি সেখানে উপস্থিত থাকি, তাহলে তারা খুশি হবে। আমি ৭ এপ্রিল ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাদের কাছে যাব। তাদের কথা শুনব। শুনতে তো কোনও দোষ নেই। তাদে বলব, ধৈর্য হারাবেন না। মানসিক চাপ নেবেন না।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি। তবে এই রায় মেনে নিতে পারছি না। আমরাও রেকর্ড খুঁজে বের করব, ২০১৬ তে কারা কারা মন্ত্রী ছিলেন। কোনও একটা জেলা তো আমি জানি, কীভাবে চাকরি হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কোনও রেকর্ড নেই। কারও কাছে থাকলে দেবেন। কলকাতা হাইকোর্টে প্রথম এই ভার্ডিক্ট যিনি দিয়েছিলেন, তিনি এখন বিজেপির এমপি হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি এটা বিজেপি–সিপিএম করিয়েছে।’