রবিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিততে হলে একপ্রকার অসম্ভবকে সম্ভত করতে হত রাজস্থান রয়্যালসকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। নিজেদের রেকর্ডই ভাঙার পথে ছিল তারা। অল্পের জন্য হয়নি। উল্টো দিকে সঞ্জু স্যামসন, ধ্রুব জুড়েলরা চেষ্টা করলেন। কিন্তু হায়দরাবাদের রানের ধারেকাছে পৌঁছতে পারলেন না। শেষমেশ রাজস্থান হারল ৪৪ রানে। বড় জয়েই মরসুম শুরু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। আর তাদের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন ঈশান কিষাণ। আইপিএলে কেরিয়ারে ৪৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংসে প্রথম সেঞ্চুরি ঈশানের ব্যাটে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডে সিরিজে হাতে চোট পেয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। তিনি শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন। প্রথম তিন ম্যাচে রাজস্থানের নেতৃত্বে রিয়ান পরাগ টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। হায়দরাবাদের পাটা উইকেটে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত যে বুমেরাং হতে পারে, সেটা বোধ হয় প্রত্যাশিতই ছিল। হলও তাই। প্রথমে ব্যাট করে রেকর্ড ২৮৬ রান তুলে ফেলল অরেঞ্জ আর্মি। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ৩০০-র সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। শেষ অবধি তা হয়নি। ৬ উইকেটে ২৮৬ করে সানরাইজার্স। ট্র্যাভিস হেডের ৩১ বলে ৬৭ এবং ক্লাসেনের ১৪ বলে ৩০ রানও উল্লেখযোগ্য। মাত্র দু’রানের জন্য হায়দরাবাদ নিজেদের গড়া সর্বাধিক রানের রেকর্ডটা ভাঙতে পারল না। ২৮৭ রানের বিরাট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৫০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে রাজস্থান রয়্যালস। মাত্র ২৪ রানের মধ্যে যশস্বী জয়সওয়াল এবং অধিনায়ক রিয়ান পরাগের উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। সঞ্জু স্যামসন, ধ্রুব জুড়েল ১১১ রানের জুটি বেঁধে রাজস্থানকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দিলেন তাঁরা। শিমরন হেটমায়ার ২৩ বলে ৪২ এবং শুভম দুবে ১১ বলে ৩৪। যদিও টার্গেট পূরণ হয়নি। ৪৪ রানে জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। আইপিএল কামব্যাকে ১ উইকেট সামির।