কলকাতা: তাহেরপুরের মানুষের স্বপ্ন চূর্ণ হয়েছে। এত দূর থেকে এসেও তাঁরা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখতে পাননি। ঘন কুয়াশার কারণে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণ করতে না পারায় নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার কলকাতায় ফিরে যায়। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতা থেকেই নদিয়া র্যালিতে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন।
বাংলায় আধুনিক সংযোগ ব্যবস্থার নিশ্চয়তা:
ঘন কুয়াশার কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হেলিকপ্টারে করে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার তাহেরপুরে পৌঁছাতে না পারায়, ফোনের মাধ্যমে র্যালিতে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, তাঁর সরকারের লক্ষ্য হলো পিছিয়ে পড়া বাংলার দুর্গম এলাকাগুলিতে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের উপর সরাসরি আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে চলতে থাকা বৃহৎ ‘জঙ্গল রাজ’ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। এই রাজ্যের মানুষ বলেন, ‘আমি বাঁচতে চাই, বিজেপিও বাঁচতে চায়।’” তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, “বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজ করবে। এই রাজ্যের জন্য ইচ্ছা বা অর্থের কোনো অভাব নেই, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রকল্পগুলি কমিশনের কাদায় আটকে যাচ্ছে।”
দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু:
পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার তাহেরপুরে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির র্যালিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঘন কুয়াশার মধ্যে ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। এক সিনিয়র আধিকারিকের মতে, দুর্ঘটনাটি পূর্ব রেলের অধীনে শিয়ালদহ–কৃষ্ণনগর শাখায় তাহেরপুর ও বড়কুল্লা রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ঘটে। ভার্চুয়াল ভাষণের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘বিজেপি কর্মীদের’ মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
মোদির শোকপ্রকাশ:
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি জানতে পেরেছি যে র্যালিতে যাওয়ার পথে কয়েকজন বিজেপি কর্মী রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” পূর্ব রেলের এক আধিকারিক ‘পিটিআই-ভাষা’কে জানান, দুর্ঘটনাটি সকালবেলায় ঘটে, যখন বাসে যাত্রা করা ব্যক্তিরা বাস থামিয়ে প্রাতঃকৃত্যের জন্য রেললাইনের দিকে গিয়েছিলেন।










