বাংলাদেশ ও পাকিস্তান: বাণিজ্যকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, একে অপরের আরও কাছাকাছি আসছেএই দুটি দেশ

IMG-20251125-WA0064

নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে চালের দাম বেড়েছে। সে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম কমাতে চাল আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল কিনতে দরপত্র আহ্বান করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ পাকিস্তান ইসলামাবাদে অভ্যন্তরীণ বাজারে এক লক্ষ টন চাল কিনতে দরপত্র আহ্বান করেছে। বৃহস্পতিবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী শুক্রবার। জানা গেছে যে পাকিস্তান বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য চাল কিনছে।
বাংলাদেশের খাদ্য পরিকল্পনা ও সরবরাহ কমিটির মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশে সব ধরণের চালের দাম বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চাল আমদানি বাড়িয়ে বাংলাদেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হাসিনার পতনের পর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু হয়। তারপর থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে বেশ কয়েকটি ধাপে ৫০,০০০ টন চাল আমদানি করেছে। এবার শাহবাজ শরীফ সরকার বাংলাদেশে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ চাল পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো প্যাকেটে করে করাচি বন্দর থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে। এর অর্থ হল শেখ হাসিনা-পরবর্তী সময়ে ইসলামাবাদ ঢাকার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নত করতে চায়। বাংলাদেশে পাকিস্তানের চাল রপ্তানি সেই ইঙ্গিতই দেয়।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement