কাওয়াখালি-পোড়াঝাড়ের ১০ ভূমিহারা নৌকাঘাটে গ্রেপ্তার
শিলিগুড়ি: প্ল্যাকার্ড হাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জমি ফেরতের দাবি জানাতে গিয়েছিলেন। তার আগেই ১০ জন্য জমিহারাকে গ্রেপ্তার করল নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি নৌকাঘাট সংলগ্ন এলাকায়। ধৃতদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ধৃতরা সকলেই পোড়াঝাড়-কাওয়াখালি ভূমিরক্ষা কমিটির সদস্য।
২০০৪ সালে কাওয়াখালি-পোড়াঝাড় এলাকায় প্রায় সাড়ে চারশো একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল বামফ্রণ্ট সরকার। প্রচুর জমির মালিক ক্ষতিপূরণ নিলেও এখনও ক্ষতিপূরণ নেয়নি ৩৭ জন জমিহারা। এছাড়া অনেকেই পাননি প্রাপ্য প্লট ও ফ্ল্যাট। নিজেদের দাবি পূরণে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পোড়াঝাড়-কাওয়াখালি ভূমিরক্ষা কমিটি।
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়িতে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মুখ্যমন্ত্রী সড়কপথে পৌঁছেছেন উত্তরকন্যায়। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের দাবি জানাতে পোড়াঝাড়-কাওয়াখালি ভূমিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে নৌকাঘাট এলাকায় জমায়েত হয়েছিলেন ভূমিহারারা। কিন্তু তাঁদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাবি জানানোর আগেই পুলিশ ৭ জন মহিলা সহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন পোড়াঝাড়-কাওয়াখালি ভূমিরক্ষা কমিটির সভানেত্রী স্বপ্না পাইন।
পোড়াঝাড়-কাওয়াখালি ভূমিরক্ষা কমিটির কার্যকরী সভাপতি পলান চন্দ বলেন, “৩৭ জন ভূমিহারা কোনও ক্ষতিপূরণ নেয়নি। এখনও নিজেদের জমি দিয়েও সরকারের প্রতিশ্রুতিমতো ৫ কাঠা করে প্লট পায়নি ৫৭ জন ভূমিহারা। ৪৫২ জন ভূমিহারাকে সরকারের তরফে মাথাগোজার জন্য ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা থাকলেও সরকার সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এই দাবিগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের সেই দাবি জানাতেই আজ জমায়েত হয়েছিলেন ভূমিহারারা। তার আগেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।” অবিলম্বে ভূমিহারাদের দাবি পূরণ না হলে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দেবেন তাঁরা।










