শিলিগুড়ি: বিহার নির্বাচনের পর, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। তিনি ১১-১২ নভেম্বর ভুটানে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। ২০১৪ সালের পর এটি হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চতুর্থ হিমালয়ের এই দেশটিতে সফর। এই সফরের লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বিশেষ বন্ধন জোরদার করা এবং নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক উচ্চ-স্তরের সংলাপের ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ভুটান ভারতের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং কয়েক দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই দুই দিনের সফরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সাথে দেখা করবেন।
দুই নেতা যৌথভাবে ১,০২০ মেগাওয়াট পুনাটসাংচু-২ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি ভারত ও ভুটানের মধ্যে সহযোগিতার প্রতীক এবং ভুটানের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করবে এবং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে। তার সফরকালে, মোদী থিম্পুর তাশিছোডজং-এ ভগবান বুদ্ধের পবিত্র পিপ্রাহওয়া ধ্বংসাবশেষের সামনে প্রার্থনা করবেন এবং বিশ্ব শান্তি প্রার্থনা উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। এই ধ্বংসাবশেষগুলি ভারত থেকে ভুটানে পাঠানো হয়েছিল এবং দুই দেশের ভাগ করা আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক। ভুটান সফরের সময়, মোদী এবং ভুটানের শীর্ষ নেতৃত্ব আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করবেন। মন্ত্রণালয়ের মতে, এই সফর দুই দেশের জন্য তাদের অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে নেওয়ার এবং নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ করার সুযোগ প্রদান করবে।
ভুটানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত ও ভুটানের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগতভাবে শক্তিশালী হয়েছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে, ভারত ভুটানের সাথে ৪,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি আন্তঃসীমান্ত রেল প্রকল্প ঘোষণা করে। এই পরিকল্পনার আওতায়, ভুটানের গেলফু এবং সামতসে শহরগুলিকে আসামের কোকরাঝাড় এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বানারহাটের সাথে সংযুক্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে না বরং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কৌশলগত ও সাংস্কৃতিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করবে। বাণিজ্য, উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা: প্রধানমন্ত্রী মোদী ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকের ৭০তম জন্মদিন উদযাপনেও অংশগ্রহণ করবেন। এই অনুষ্ঠান ভুটানের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ চতুর্থ রাজাকে আধুনিক ভুটানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী নেতাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও, মোদী ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের সাথে দেখা করবেন, যেখানে বাণিজ্য, উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বিশ্ব শান্তি প্রার্থনা উৎসবে অংশগ্রহণ: এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ভগবান বুদ্ধের পিপ্রাহওয়া ধ্বংসাবশেষ, যা বর্তমানে ভুটানে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী থিম্পুর তাশিছোডজং সফর করবেন এই পবিত্র নিদর্শনগুলি পরিদর্শন এবং প্রার্থনা করার জন্য। এছাড়াও, তিনি ভুটান সরকার আয়োজিত বিশ্ব শান্তি প্রার্থনা উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন, যেখানে বিশ্বে শান্তি ও সদিচ্ছার বার্তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ভারত ও ভুটানের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করার, নতুন সুযোগ অন্বেষণ করার এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয়গুলিতে মতামত বিনিময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মোদী ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের সাথেও দেখা করবেন, যেখানে তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবেন।
বিশ্ব শান্তি প্রার্থনা উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী এই সফরের একটি বিশেষ দিক হল ভারত থেকে আনা ভগবান বুদ্ধের পিপ্রাহওয়া ধ্বংসাবশেষ বর্তমানে ভুটানে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই পবিত্র নিদর্শনগুলিতে শ্রদ্ধা জানাতে এবং প্রার্থনা করতে থিম্পুর তাশিছোডজং যাবেন। তিনি ভুটান সরকার আয়োজিত বিশ্ব শান্তি প্রার্থনা উৎসবেও অংশগ্রহণ করবেন, যেখানে বিশ্বে শান্তি ও সদিচ্ছার বার্তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ভারত ও ভুটানের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর দুই দেশের জন্য তাদের সহযোগিতা আরও গভীর করার, নতুন সুযোগ নিয়ে আলোচনা করার এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয়গুলিতে মতামত বিনিময়ের সুযোগ করে দেবে। এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।










