প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাহাড়-ডুয়ার্সে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩২ জনের। প্রবল বর্ষণ হয়েছে প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও ভুটানেও। তার জেরে সেই দুই দেশ থেকে অনেক লাশ মিলেছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলোতে। যাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুধিয়ার পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে মিরিকে ধসে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সাহায্য করেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “নেপাল ও ভুটানের নদী থেকে জল ঢুকেছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলোতে। তার ফলে বন্যা হয়েছে। সেই বন্যায় কেবল বাংলার মানুষ নয়, নেপাল ও ভুটানের অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন। তাদের লাশ ভেসে এসেছে এখানে। তবে সেই সব দেহ সসম্মানে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”
আজ দুধিয়ায় ১৬ জন মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মমতা বলেন, “অনেকের সব কাগজপত্র নষ্ট হয়েছে। সেগুলোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বাচ্চাদের বই, খাতা, ড্রেস ইত্যাদি দিতে হবে। রাস্তা নষ্ট হলে সেগুলো সারাতে হবে। মৃতদের পরিবারের একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। সেজন্য বায়োডাটা সংগ্রহ করবেন জেলাশাসকরা। তবে কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমিই আপনাদের পাশে থাকব।”