এক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগেই অশান্ত হয়ে লেহ শহর।সেই অশান্তির ঘটনায় ৪ জন প্রাণ হারান। আ্হত হন বহু মানুষ। ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয় ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক ও সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে। তাঁর মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সোনমের স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংমো। সেই মামলায় সোমবার কেন্দ্র, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ এবং যোধপুর সেন্ট্রাল জেলের পুলিশ সুপারকে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোনমের গ্রেফতারি নিয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। ১৪ অক্টোবর আবার এই মামলার শুনানি হবে।জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করে সোনমকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর লেহর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে লাদাখ পুলিশ। তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজস্থানে। যোধপুর সেন্ট্রাল জেলেই আপাতত সোনম আছেন। মনে করা হচ্ছে, নিরাপত্তার কথা ভেবে লাদাখ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোনমের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর গ্রেফতারি বেআইনি। মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন তিনি। সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।গীতাঞ্জলির মামলা এবং তাঁর অভিযোগগুলি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। লাদাখ প্রশাসন এবং জোধপুর জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও আদালত শুনবে। সোনমের স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, গ্রেফতারির পর থেকে স্বামীর কোনও খবর তিনি পাননি। সোনমের স্বাস্থ্য, বর্তমান অবস্থান কিংবা গ্রেফতারির কারণ তাঁকে ব্যাখ্যা করা হয়নি। এই প্রেক্ষিতেই জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। তবে সোনমকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সোমবার আলাদা করে কোনও নির্দেশ আদালত দেয়নি। ১৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। তত দিন সোনমকে জেলেই থাকতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, লাদাখে বিক্ষোভের ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছে সোনম ওয়াংচুকে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল এবং লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর কবীন্দ্র গুপ্তকে চিঠি দিয়ে স্বামীর মুক্তি চেয়েছিলেন। নিরাপত্তার কারণে তাঁকে লেহ-র জেলে রাখা হয়নি। বরং রাখা হয়েছে রাজস্থানের যোধপুর জেলে।