নয়াদিল্লি: জল্পনার অবসান। অস্ট্রেলিয়া সফরের দল ঘোষিত হল। এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব হারালেন রোহিত শর্মা। দলের নতুন অধিনায়ক শুভমন গিল। টি-২০ দলের নেতৃত্ব অবশ্য সূর্যকুমার যাদবের হাতেই রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে এশিয়া কাপজয়ী টি-টোয়েন্টি দলকেই পাঠানো হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানো রোহিত নেতৃত্ব হারালেও দলে থাকলেন। জায়গা হয়েছে বিরাট কোহলিরও। টেস্ট এবং টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর দু’জনকে নিয়েই প্রশ্ন ছিল। বলা হয়েছিল, এক দিনের দলেও সুযোগ পাবেন না। কিন্তু দু’জনকেই অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে রাখা হল। ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই নেতৃত্বে বদল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে সময় রোহিত খেলার মতো পরিস্থিতিতে না থাকলে নতুন কাউকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে হবে। তাই আগে থেকেই শুভমনকে দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিলেন জাতীয় নির্বাচকেরা। উল্লেখযোগ্য ভাবে এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে শ্রেয়স আয়ারকে। টেস্ট দলে সুযোগ পাচ্ছেন না শ্রেয়স। এশিয়া কাপের দলেও তাঁকে রাখা হয়নি। শ্রেয়সকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে মনে করছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। তবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তাঁকে গুরুত্ব দিয়েই দলে রাখা হল। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দিয়ে শ্রেয়স সাময়িক ভাবে লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নিয়েছেন। বাকি দলে তেমন কোনও চমক নেই। প্রত্যাশামতোই সাদা বলের ক্রিকেটে দু’রকম দল বেছে নিয়েছেন অজিত আগরকরেরা। তবে কোনও দলেই জায়গা হয়নি মহম্মদ শামির। বাংলার জোরে বোলারের কথা সম্ভবত জাতীয় দলের জন্য আর ভাবছেন না নির্বাচকেরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে জসপ্রীত বুমরাহকে। টি-২০ দলে আবার রাখা হয়নি মহম্মদ সিরাজকে। চোটের জন্য বিবেচনা করা হয়নি হার্দিক পাণ্ড্যের নাম। তাঁর কোনও সিরিজেই খেলার সম্ভাবনা নেই। একই কারণে দলে রাখা হয়নি ঋষভ পন্থকেও। শেষ বার দেশের জার্সিতে রোহিত এবং কোহলি খেলেছিলেন গত ৯ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচ ১৯ অক্টোবর। অর্থাৎ, ২২৪ দিন পর আবার ভারতের জার্সি পরে নামতে দেখা যাবে দু’জনকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় এবং পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলবে ভারত।