প্রাক্তন স্ত্রী রীতাকে আইনি নোটিস ধরালেন কুমার শানু

IMG-20251003-WA0056

মুম্বাই: সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কুমার শানুর সঙ্গে দাম্পত্য নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য। রীতিমতো গর্ভাবস্থায় গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। রীতার দাবি, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁকে খেতে দিতেন না গায়ক। এমনকী, সন্তানের খাবার জন্য টাকা চাইতে গিয়েও নাকি অপমানিত হতে হয়েছে তাঁকে! সেই প্রেক্ষিতেই এবার রীতার বিরুদ্ধে পালটা ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ এনে আইনি নোটিস ধরালেন কুমার শানু।কুমার শানুর ব্যক্তিগতজীবন বরাবরই চর্চায়! যার জেরে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন গায়ক। দিন কয়েক আগে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা তথা অভিনেত্রী কুনিকা সদানন্দ বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শানুর সঙ্গে তাঁর ‘বিবাহ বহির্ভূত’ সম্পর্ক নিয়ে। তার দিন কয়েক পরই রীতা এক সাক্ষাৎকারে জানান, “জান যখন গর্ভে ছিল তখন আমাকে খাবার খেতে দেওয়া হত না। শানু বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে হেঁশেলে তালা ঝুলিয়ে যেত। একমুঠো চাল কিনে তখন আমি আমার বউদির বাড়িতে গিয়ে খিচুড়ি রেঁধে খেতাম। এমনকী আমার বাচ্চাদের জন্য দুধ পর্যন্ত আনতে দিত না। আমাকে দিনের খরচ চালানোর জন্য হাতে মাত্র ১০০ টাকা গুঁজে দিত। ডাক্তারকেও বলেছিল, আমাদের খরচ দিতে পারবে না ও। তাই ওকে ‘মানুষ’ বলাটা ভুল হবে। বাচ্চার খাবার অর্ডার করলে, দোকানদার আমাকে সাফ জানিয়ে দিত- দিতে পারব না, সাহেবের মানা রয়েছে।” এখানেই শেষ নয়! গায়কের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন স্ত্রী। রীতা ভট্টাচার্য দাবি করেন, “কুমার শানু ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত। তাই আমাকে ঘর থেকে বের হতে দিত না। আমার গর্ভাবস্থায় আমাকে আদালতে পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছে। ওই সময়ে ও এক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেও জড়িয়েছিল। যেটা এখন সকলেই জানেন। আমার বয়স তখন অনেকটাই কম। আমি তো ভেবেছিলাম, আমার জীবনটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল। আমার পরিবারও অবাক হয়ে গিয়েছিল এসব দেখেশুনে। গতবছর এক বড় পার্টিতে শানু বলে যে, আমিই নাকি ওর সাফল্যের নেপথ্যে। কিন্তু আমি তো কারণটাই জানি না! এই কুমার শানুই আমাকে আদালতে নিয়ে নিয়ে আমার খোরাক বানিয়েছিল। হেসেছিল।” এসব অভিযোগের পরই নেটপাড়ায় লাগাতার কটাক্ষ, সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কুমার শানুকে। এবার খবর, আইনজীবী সানা রইস খানের মাধ্যমে প্রাক্তন স্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন গায়ক। সেই নোটিসে উল্লেখ, “বিগত ৪০ বছর ধরে কুমার শানু নিজের সুরেলা কণ্ঠের জোরে লক্ষ লক্ষ শ্রোতার মন জয় করে আসছেন। যার জন্যে অগণিত ভক্ত তাঁকে যেমন ভালোবাসে, তেমন শ্রদ্ধাও করে। কিছু মিথ্যে অপবাদ কিছুক্ষণের জন্য সকলকে বিভ্রান্ত করলেও ওঁর লিগ্যাসি কোনওদিন মুছে ফেলতে পারবে না। আইনের মাধ্যমেই আমরা এর মোকাবিলা করব।”

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement