গত কয়েকঘণ্টার টানা বৃষ্টি আর তার পরিণাম। মঙ্গল সকালের শহর দেখেই শিউরে উঠছেন বাসিন্দারা। জলমগ্ন পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত জীবন। সকাল থেকেই জমা জল দেখেই বাড়ছিল উদ্বেগ। বেলা বাড়তেই সেই উদ্বেগ, আশঙ্কা সত্যি হয়ে সামনে এসেছে। চারদিকে জলমগ্ন পরিস্থিতি। ভয়াবহতা ক্রমশ বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। রেল স্টেশন এলাকায় মেট্রো স্টেশনে জল জমে, রাস্তায় গাড়ি অর্ধমগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে। জলের স্রোত বেড়ে চলেছে। এর মাঝে শোচনীয় অবস্থা কলকাতার কুমোরটুলিতেও। জল ঢুকে ভেসে যাচ্ছে প্রতিমা। পুজো প্যান্ডেলগুলোর অবস্থাও একইরকম। এর মাঝেই চলছে জনজীবন, থেমে নেই এক মুহূর্তও। চলছে টলিপাড়ার শুটিংও। শুটিংয়ে যাওয়ার আগে সমাজমাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন অভিনেতা জিতু কামাল। নেটপাড়ায় এই দুর্যোগের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, ছড়িয়েছে এই পরিস্থিতিতে যাঁরা নিজেদের মতো করে লড়াই করছেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন তাঁদের ছবিও। সেই ছবিকে অনেক নেটিজেন নাকি হাসির খোরাক হিসেবে দেখছেন। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন জিতু।সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাগ করে অভিনেতা বলেন, “আমরা বিভিন্ন প্রচারের জন্য ভিডিও তৈরি করি। নিজেদের অ্যাকাউন্টের রিচ বাড়ানোর জন্যও কেউ কেউ ভিডিও পোস্ট করি। তবে আমার মনে হল এই বিষয়ে এবার একটা ভিডিও তৈরি করা উচিৎ। এতে যে বিরাট কিছু হবে তা হয়তো না। তবে মানবিকতার খাতিরে আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।অভিনেতার কথায়, “গতকাল রাতে যত জোরে বাজ পড়েছে, তার চেয়েও অনেক জোরে বৃষ্টির শব্দ কানে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা লড়াই করছেন তাঁদের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ ফুটপাতের উপরে নিজের দোকানের জিনিস মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ আবার হাঁটু সমান জল পেরিয়ে কাজে যাচ্ছেন। ওঁদের ছবি দেখে অনেকেই হাহা রিয়্যাক্ট করছেন। এটা উচিৎ নয়। এই পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে থাকা উচিৎ। আমার বাবা আমায় সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। আমিও সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকব।”জিতু আরও বলেন, “আর এই ক’দিন আমায় কেউ শুভ প্রথমা, শুভ দ্বিতীয়া এইগুলো পাঠাবেন না প্লিজ। কারণ, বিষয়টা শুভ নয়। তবে মানুষের পাশে থাকুন, দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। কলকাতা আবারও দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠবে।”