তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। বলা হয়েছিল, সিএবি-র ফিনান্স কমিটির সদস্য হয়েও নিজের হোটেলই সিএবি-কে ভাড়া দিয়ে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন। সিএবি-র ফিনান্স কমিটির সদস্য, বেলগাছিয়া ক্লাবের প্রতিনিধি সেই সুব্রত সাহার বড় অঙ্কের জরিমানা হল। সঙ্গে জরিমানা করা হল সিএবিকেও! অভিযোগ করেন সিএবি-র অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বিদায়ী সদস্য মহাদেব চক্রবর্তী। গড়িয়াহাটে একটি হোটেলের ঘরভাড়া হিসেবে সিএবিকে দিতে হয়েছে ৩৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০ টাকা। মহাদেববাবুর বক্তব্য ছিল, যে হোটেলের বিল মেটানো হয়েছে তার অন্যতম মালিকানা রয়েছে খোদ সুব্রতরই! অবশেষে রায় দিলেন সিএবি-র এথিক্স অফিসার, প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি আপাতত ফিনান্স সাব কমিটির কোনও কাজও করতে পারবেন না সুব্রত। নতুন সাব কমিটিতে স্থান হলেও হলফনামা জমা দিতে হবে তাঁকে। সেখানে জানিয়ে দিতে হবে কোনও বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে তাঁর অর্থনৈতিক (অথবা অন্য কোনও) সম্পর্ক নেই। জরিমানার টাকা দিতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। তবে কেবল তিনিই নন, জরিমানা দিতে হবে সিএবি-কেও! সেই অঙ্কও ২ লক্ষ টাকা। এখন দেখার এই রায়ের বিরুদ্ধে সুব্রত কোনও আপিল করেন কিনা।