অশান্ত নেপাল, উদ্বিগ্ন রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীরা

IMG-20250909-WA0124

সপ্তর্ষি সিংহ

বিদ্রোহের আগুনে অস্থির নেপাল। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সীমান্তে বেড়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বলের (এসএসবি) নজরদারি। ফলে পর্যটনের মরশুম শুরু হওয়ার মুখেই উদ্বেগে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পুজোর মুখে বহু পর্যটক নেপাল যাওয়া বাতিল করতে পারেন বলে আশঙ্কা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ধরে নেপালে ভারতীয়, বিশেষত বাঙালি পর্যটকদের যাতায়াতের সংখ্যা বাড়ছিল। পানি ট্যাঙ্কি সীমান্তে সোমবার দুপুর থেকেই কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। পরিচয়পত্র পরীক্ষা ছাড়া সীমান্ত পারাপার কঠিন। ওপারে নেপালের সশস্ত্র বাহিনীও নজরদারি বাড়িয়েছে। ফলে সীমান্তে দীর্ঘ লাইনে আটকে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, নিরাপত্তার অনিশ্চয়তার কারণে পুজোর মরশুমে পর্যটকরা নেপাল যাত্রা বাতিল করতে পারেন।
বেশ কিছু পর্যটন ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, কয়েকদিন পর শুরু হবে মরশুম। নেপালের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে এমনিতেই এবার বেশ শঙ্কিত ছিলেন পর্যটকরা। পরিস্থিতি জানতে ঘনঘন ফোন আসছিল। অস্থিরতা যদি চলতে থাকে তবে নিরাপত্তার কথা ভেবে কেউ যেতে চাইবেন না বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের তরফেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। রাজ্য ইকো-ট্যুরিজম কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, নেপালের পরিস্থিতি অস্থির থাকলে পর্যটনে বড় প্রভাব পড়বে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এই বিষয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি সম্রাট স্যান্যাল বলেন, “ গত বছর রেকর্ড সংখ্যক বাঙালি পর্যটক নেপালে বেড়াতে গিয়েছেন। এবারও ভালো সাড়া ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সম্ভাবনা নেই বললে চলে।” একই মত পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও।
একাংশ মনে করছেন, ঘটনার জল অনেক দূর গড়াতে পারে। এবার নেপালে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই কমবে। অথচ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ আয় উৎস পর্যটন ও পর্বতারোহণ।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement