মনসা দেবীর পুজোয় ভক্তিতেই মুক্তি

WhatsApp-Image-2025-08-29-at-13.45.04-768x1365

গত কয়েক দিন আগেই মনসা মায়ের পুজো সম্পন্ন হল। আবারও আগামী বিশ্বকর্মা পুজোর সময় মা মনসার পুজো আসছে। এছাড়া সারা বছরই এই দেবীর পুজো করা হয়। পুজোর আগে এই পুজোর মাহাত্ম্য রইল।
মনসা দেবী হলেন লোকবিশ্বাসের এক প্রাচীন দেবী, যিনি সাপের দেবী হিসেবে পরিচিত। বাংলার লোককথা, মঙ্গলকাব্য ও গ্রামীণ আচার-অনুষ্ঠানে মনসা দেবী বিশেষভাবে পূজিত হন। দেবী মনসাকে সাধারণত সাপের আভাসে বা মাথায় ফণাযুক্ত সাপসহ চিত্রিত করা হয়। তাঁর পূজা মূলত সাপের দংশন থেকে রক্ষা, পরিবার ও সন্তানের মঙ্গল, কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধি এবং বংশবৃদ্ধির আশীর্বাদ লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়।
মনসা পূজার ইতিহাস
প্রাচীন শিকড়:
মনসা দেবীর পূজা আর্য-অনার্য যুগের মিলিত প্রভাবে গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ সমাজে যেখানে সাপের উপদ্রব ছিল প্রবল, সেখানে সাপদেবীকে রুষ্ট না করতে বা সাপের ভয় থেকে রক্ষা পেতে এই পূজা শুরু হয়।
মঙ্গলকাব্যে মনসা:
মনসামঙ্গল কাব্য (বিপ্রদাস, বিজয় গুপ্ত, নারায়ণ দেব প্রমুখ কবিদের রচনা) মনসা দেবীর কাহিনীকে জনপ্রিয় করে তোলে।
কাহিনীতে বলা আছে, বেহুলা-লখিন্দর ও চাঁদ সদাগরের কাহিনী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চাঁদ সদাগর মনসার পূজা করতে অস্বীকার করেন, তাঁর ছেলে লখিন্দর সাপের কামড়ে মারা যায়। পরে বেহুলার ভক্তি ও সাধনার ফলে মনসা দেবীর পূজা প্রতিষ্ঠা পায়।
এর মাধ্যমে সমাজে মনসা পূজার গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement