সপ্তর্ষি সিংহ
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময় বাজি বানানোর কারাখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। যা ঘিরে বিরোধীরা আঙ্গুল তুলতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাজি তৈরীর প্রশিক্ষণের বিষয়ে ক্লাস্টার তৈরীর কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই অনুযায়ী বাজি তৈরী কারিগরদের প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগী হল অল ইন্ডিয়া তৃণমূল ফায়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ওয়ার্কার এসোসিয়েসন। সবুজ আতসবাজি প্রস্তুতকারক ও কারিগরদের নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে এবার আধুনিক পদ্ধতিতে দূষণ মুক্ত বাজি তৈরীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। শুক্রবার অল ইন্ডিয়া তৃণমূল ফায়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ওয়ার্কার এসোসিয়েসন কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে, বাজি তৈরীর কারিগরদের সঠিক লাইসেন্স প্রদান করা হবে। দূষণ মুক্ত বাজি তৈরীর প্রশিক্ষণ দিতে নাগপুর ওঁ জার্মানির বিজ্ঞানীরা কলকাতায় আসবেন। এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংগঠনের সাংবাদিক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট শক্তিপদ মন্ডল ও সভাপতি সুকদেব নস্কর জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ক্লাষ্টার তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। বাজি কারখানা গুলিকে সরকারি ভাবে লাইসেন্স দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বাজি তৈরীর সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারি মাসে কোল্ড ফায়ার তৈরীর বিষয়ে প্রশিক্ষণ চালু করা হবে। এছাড়াও দূষণ মুক্ত বাজি তৈরীর জন্য নাগপুর ও জার্মান সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাজি প্রশিক্ষণ তৈরীর কাজ চলছে। এমএসএমই বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বারুইপুর ও মহেশতলায় হবে কোল্ড ফায়ার ট্রেনিং প্রশিক্ষণ। সবুজ বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ একমাত্র দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা – ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি)। সবুজ বাজির নিয়ামক সংস্থা তারাই। সম্প্রতি রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প দপ্তরের (এমএসএমই) আয়োজনে বেশ কিছু কারিগরকে সবুজ বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু হয়েছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বাজি ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, কেবলমাত্র তাঁদের একটি কিছু পরিচিত ঠিক করে দেওয়া লোকেদেরই প্রশিক্ষণ ওঁ লাইসেন্স দিয়েছে বাবলা রায় অর্থের মাধ্যমে। যোগ্য ব্যক্তিরা আবেদন করলেও তাঁদের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগই করা হয়নি। সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ, এর পিছনেও রয়েছে সিন্ডিকেটের ‘খেলা’। কারণ, বেছে বেছে যাঁদের এই সবুজ বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা আদতে সিন্ডিকেটেরই সঙ্গে যুক্ত।তবে সারা বাংলা আতশবাজি সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ কথায়, ‘এমএসএমই দপ্তরের তো একশোর বেশি প্রকল্প রয়েছে। যাঁদের বাজি তৈরির পরিকাঠামো নেই, তাঁরা অন্য কোনও ব্যবসা করতেই পারেন। বেআইনি ভাবে বাজি কেন তৈরি করা হবে?’