পরের বছরেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে সমীক্ষা চালাবে নির্বাচন কমিশন। বিহারের মডেলেই এই রাজ্যে এসআইআর-এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা সংশোধন করবে কমিশন। কিন্তু কবে থেকে তা শুরু হবে, এই নিয়ে জল্পনা চলছিল। এই আবহেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “বাংলায় এস আই আর কবে হবে তা পরে জানানো হবে। ৩ নির্বাচন কমিশনার আলোচনা করে সঠিক সময়ে জানানো হবে।” তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গেও হবে এসআইআর, কবে হবে তা আমরা আলোচনা করে জানাব।’ শুধু বাংলা নয়, ভারতের সকল রাজ্যেও ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন হবে বলে জানান তিনি। এর আগে ৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে মনোজ আগরওয়ালের অফিসে চিঠি পাঠিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর অনুশীলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। জবাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে এসআইআর প্রস্তুতির রিপোর্ট সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছিলেন। যদিও এর পরে ২০০২ সালের বিশেষ নিবিড় সংশোধনের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশিত ভোটার তালিকা নিয়ে নানা অভিযোগের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নতুন একটি তালিকা জারি করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নির্বাচন কমিশনকে আরও একটি চিঠি লিখে ২০০৩ সালে প্রকাশিত তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরির অনুমতি চেয়েছেন। ২০০২ সালের এসআইআর-এ পশ্চিমবঙ্গে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪.৫৮ কোটি ছিল। সূত্রের খবর, ২০০২ সালে ভোটার তালিকা থেকে ২৮ লক্ষ নাম বাদ পড়েছিল। চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ থেকে গত সপ্তাহের মধ্যে জেলাভিত্তিক এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তার পর থেকেই এই তালিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।