সপ্তর্ষি সিংহ
এসআইআর নিয়ে একজোট ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। সোমবার বিরোধিতায় সুর চড়িয়ে দিল্লির কমিশন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এদিন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা এক হয়ে যৌথভাবে পথে নামেন। এই ইস্যুতে কংগ্রেস-তৃণমূলের সখ্যতাকে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বললেন, “হাম তো ডুবেঙ্গে সনম, তুমকো সাথ লেকে ডুবেঙ্গে।” সংসদে দাঁড়িয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শমীক বলেন, “রাহুল গান্ধী আগে রাফাল নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন, সাভারকর নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। এখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে, এখানেও ক্ষমা চাইতে হবে। রাহুল গান্ধী এবার উপাধি পাবেন, ক্ষমাশ্রী।” শমীক ভট্টাচার্য বাংলার শিলিগুড়ি, বারাসাত ও বারুইপুরকে ‘ভুয়া আধার কার্ডের হাব’ হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের সার্বভৌম নিরাপত্তায় গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেশের নানা প্রান্ত থেকে বেআইনি পথ অবলম্বনে এই এলাকায় ভুয়া পরিচয়ের ব্যবসা চালানো হচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তায় বহুলক্ষুণ্ণ।” একইসঙ্গে তাঁর কথায়, “রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মঞ্চে পতিত, হারিয়েছে হরিয়ানা, দিল্লি, বিহার—এবার পালা পশ্চিমবঙ্গের। এখন সেই তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যস্ত। এটা রাজনীতির এক বিদগ্ধ সমীকরণ, যেখানে এক পক্ষ ডুবছে আর অন্য পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে নিমজ্জিত হওয়ার চেষ্টা করছে।” শমীক বলেন, “রাহুল গান্ধী তো ডুবে গিয়েছেন। হরিয়ানা হাত থেকে গিয়েছে, দিল্লি হারিয়েছে, এবার বিহারে হারবে, তারপর পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল এখন কংগ্রেসের হাত ধরেছে। হাম তো ডুবেঙ্গে সনম, মগর তুঝে ভি সাথ লে কার ডুবেঙ্গে। তৃণমূলের বিসর্জন এটা নিশ্চিত। এ-ও ডুবছে, ও-ও ডুববে। জগন্নাথ দেবকে সাক্ষী রেখে বঙ্গোপসাগরের তীরে ওই দিঘাতেই তৃণমূলের বিসর্জন হবে।”