শিলিগুড়ি: একাধিক দাবি নিয়ে চা পর্ষদের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন চা শ্রমিকেরা। শ্রমিকেরা জানিয়েছেন তাদের নানাভাবে আশ্বাস দেখিয়ে দিনের পর দিন মুনাফা লুটে চলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেখানে চা পর্ষদ মুখে কুলুপ দিয়ে বসে আছে। চা শ্রমিকেরা জানিয়েছেন দিনের পর দিন অর্ধাহারে দিন কাটিয়ে চলেছেন তারা, তাদের শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ একেবারেই অন্ধকারের দিকে। সবকিছু জেনে এবং বুঝেও কোন রকমের পদক্ষেপ নেয়নি চা পর্ষদ। সরকারের সাথে চা পর্ষদের যে আলোচনা হয়েছে সেখানে শ্রমিকদের কোন বলা যেতে পারে চা শ্রমিকদের কোন ধরনের উন্নতির লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়নি। এমন অবস্থা তাদের পক্ষে আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আজ তারা চা পর্ষদের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান। তারা আরো জানিয়েছেন ভবিষ্যতে যদি এই ভাবেই চলতে থাকে তারা তাদের কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।আমরা রাজবংশী এবং কামতাপুরীদের সম্মান করি। কাউকে কোন অসম্মান করে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলেন নি আমরাও চলি না। দিলীপ বর্মনের অভিযোগের উত্তরে আজ সাংবাদিকদের ঠিক এই ভাবেই উত্তর দিলেন মেয়র গৌতম দেব। তিনি স্পষ্ট ভাবে জানালেন আমরা চাই সবাই মিলেমিশে একসাথে থাকতে, আমরা ভাষার মধ্যে বিভেদ করতে চাই না, আর করিও না। কেউ যদি মনে করে আমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে আমাদের নামে কুৎসা রটাবে, তবে সে একেবারেই ভুল ভাবছে। এদিন মেয়র জানান জমি নিয়ে যে রটনা রটেছে সেটা একেবারেই অসত্য এবং মিথ্যে। এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি আর আমরা প্রশ্রয় দিই না। শিলিগুড়ি পুরসভা স্বচ্ছ পুরসভা, সবাইকে নিয়ে চলতে পারে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন মানুষের পাশে এবং মানুষের সাথে থাকেন, ঠিক তার নির্দেশেই আমরা চলছি। মানুষের মধ্য বিভেদ সৃষ্টি করা আমাদের কাজ না, গতকাল দিলীপ বর্মন মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র কে আক্রমণ করে যে ভাষায় অভিযোগ জানান আজ তার উত্তরে ঠিক এই ভাবেই মেয়র গৌতম দেব সাংবাদিকদের সামনে তার জবাব দিলেন। তবে হবে মেয়র জানিয়ে দিলেন সে তার নিজের দলের কাউন্সিলারই হোক না কেন, তিনি কোনদিন রেয়াত করেন নি আর করবেন না। মেয়র বনাম দিলীপ বর্মনের এই সম্মুখ সমর কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এই প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই গেল।