দিনহাটা: ইয়াবা ট্যাবলেট এবং কফ সিরাপ সহ এক যুবককে গ্রেফতার করল সাহেবগঞ্জ থানার অন্তর্গত নয়ারহাট ফাঁড়ির পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে দিনহাটা-কুর্শাহাট সড়কের গোবরাছড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ওই যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন। তার বাড়ি গোবরাছড়া- নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবেশ্বর এলাকায়। বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে এই ইয়াবা ট্যাবলেট ও কাফ সিরাপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকালে দিনহাটার সিতাই কামন্তেশ্বরী ব্রিজের কাছে পুলিশের নাকা চেকিং এ প্রায় দেড় হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিতাই থানার পুলিশ। এদিকে নয়ারহাট ফাঁড়ির পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে শিবেশ্বর এলাকার যুবক সাদ্দাম হোসেন দিনহাটা থেকে একটি মোটর বাইকে দিনহাটা- কুর্শাহাট সড়ক ধরে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। বাইকটি যখন গোবরাছড়া এলাকার কাছাকাছি যায় সে সময় পুলিশ সেই বাইকটিকে আটক করে। বাইকে তল্লাশি চালিয়ে ৫০ বোতল কফ সিরাপ এবং ১০ গ্রামেরও বেশি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। পুলিশ সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে। পুলিশের অভিযোগ, ওই যুবক ওই কফ সিরাপ এবং ইয়াবা ট্যাবলেট গুলি বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে এই নিয়ে যাচ্ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিনহাটা স্টেশন থেকে নয় হাজার বোতল কফ সিরাপ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। সেই কফ সিরাপগুলি বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বুকিং করা হয়েছিল। সেগুলি উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনে করে দিনহাটা স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রেলপুলিশ সেগুলিকে আটক করে। রেল পুলিশের বক্তব্য, বাংলাদেশের পাচারের উদ্দেশ্যেই সেগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল।
দিনহাটার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট এবং কফ সিরাপ সহ অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী বাংলাদেশে হর হামেশাই পাচার হয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যেই পুলিশ এবং সীমান্তের বিএসএফের হাতে সেগুলি ধরা পড়লেও এই পাচার বন্ধ হচ্ছে না। এদিন নয়ারহাট ফাঁড়ির পুলিশ যে ইয়াবা ট্যাবলেট এবং কফ সিরাপ গুলি আটক করেছে সেগুলি পাচারের উদ্দেশ্যেই সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এমনটাই পুলিশের ধারণা।