কোচবিহার : ফাঁসিরঘাটে সড়ক সেতুর দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে ফাঁসির ঘাট সেতু আন্দোলন কমিটি। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা ‘ফাঁসিরঘাট সেতু আন্দোলন কমিটি’র পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকে আরো দুর্বার করে তুলল তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। ফাঁসির ঘাট সেতু দাবিতে আন্দোলনকারীদের জেলা নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস ও নৈতিক সমর্থনও জানালেন।
কোচবিহার শহরে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক এবং সেতু আন্দোলন কমিটির প্রতিনিধি দল মুখোমুখি আলোচনা করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলন কমিটির সভাপতি কাওসার আলম ব্যাপারী, সম্পাদক ও বিশিষ্ট আইনজীবী মনিরুজ্জামান ব্যাপারী, এবং জনসভা অর্গানাইজিং কমিটির সভাপতি মুর্শিদ আলম ওরফে বাবুল।জানা গেছে, এই আলোচনায় আগামী ১ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার, সুকটাবাড়ি এস্টেট হাই মাদ্রাসার মাঠে আয়োজিত হতে চলা প্রকাশ্য জনসভার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। জেলা সভাপতি ওই জনসভাকে নৈতিক সমর্থন জানান এবং সভার সফলতা কামনা করেন।কমিটির পক্ষ থেকে জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিককে জনসভায় উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়। বৈঠকে অভিজিৎ দে ভৌমিক মহাশয় ফাঁসিরঘাট সেতুর দাবিকে “একটি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ও জনমুখী দাবি” বলে স্বীকার করেন। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এবং বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। তিনি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে গত ২০ জুলাই এই দাবি সমর্থন করে একটি পোস্ট করেছিলেন বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন।সেতু আন্দোলন কমিটির সভাপতি কাওসার আলম ব্যাপারী বৈঠক শেষে বলেন, “আজকের আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক থেকে আমরা দেখেছি। জেলা সভাপতির সহানুভূতিশীল মনোভাব আমাদের আশাবাদী করেছে। রাজ্য সরকার আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করুক, এটাই আমাদের চাওয়া।” সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান ব্যাপারী জানান,”জনসভা আমাদের গণদাবিকে আরও জোরদার করবে। প্রশাসন ও সরকারের নজর এই দাবির দিকে টানতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই চালিয়ে যাব।”উল্লেখ্য, ফাঁসিরঘাটে সড়ক সেতু না থাকায় বহু মানুষ প্রতিদিন ভোগেন ভয়ঙ্কর যানজট ও যোগাযোগ সমস্যায়। নদী পারাপারে দীর্ঘ সময় লেগে যায় এবং জরুরি পরিষেবাও বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই দাবি পূরণের পথে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব কতটা দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই এখন নজর জেলার সাধারণ মানুষের।