কোচবিহার: একদিকে তীব্র তাপদাহ অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ল নয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র-ছাত্রী। বুধবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন নবম শ্রেণীর ছাত্রী আলপনা লতা ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাদ্দাম হোসেন ক্লাসেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনাকে ঘিরে স্কুল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে,গত সোমবার থেকেই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে গরমে ফ্যান না চলায় ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে বসে থাকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। গরমে বায়ু চলাচল বন্ধ থাকায় অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। পরে ওই অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় নয়ারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের অবস্থা স্থিতিশীল হয়।
নবম শ্রেণীর ছাত্রী আলপনা লতা জানান, “আমার মাথা ঘুরছিল, খুব গরম লাগছিল। হঠাৎ চোখে অন্ধকার দেখতে পাই।”বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস সরকার বলেন, “গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ছে। আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এদিন স্কুল চলাকালীনই দুপুরের বিকে ফের বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হয়েছে।”ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে দিনের পর দিন একটি স্কুল বিদ্যুৎহীন অবস্থায় চলতে পারে। এদিকে বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তরের কর্মীরা বিদ্যালয়ে এসে দ্রুত সমস্যা চিহ্নিত করে মেরামতির কাজ সম্পন্ন করেন এবং পুনরায় ফ্যান চালু হয়।স্থানীয় বাসিন্দারা ও অভিভাবকদের দাবি, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে স্কুলগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও দ্রুত পরিষেবা নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের প্রশ্নে প্রশাসনের আরও সক্রিয় হস্তক্ষেপ দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।