রোহিঙ্গামুক্ত ভোটার তালিকার দাবি শুভেন্দুর

IMG-20250608-WA0264

বাঙালি হেনস্থার বিরুদ্ধে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিলে ব্যস্ত সেই সময়ে অনুব্রবেশ নিয়ে পাল্টা সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রোহিঙ্গামুক্ত ভোটার তালিকার দাবিতে সিইও’র দফতরে দরবারও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাঙালি হয়রানির প্রতিবাদে বুধবার শহরে মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই বাংলাতেও ভোটার তালিকা অনুপ্রবেশকারী মুক্ত করার জন্য বিশেষ সমীক্ষার দাবিতে সিইও’র অফিসে যান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ‘রোহিঙ্গাদের প্রবেশ করিয়ে রাজারহাট, নিউ টাউনের ডেমোগ্রাফি বদল করানো হয়েছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘কলকাতার পাশে রাজারহাট, নিউ টাউন, কসবার ডেমোগ্রাফি বদলে দেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে।’ শুধু এই অংশগুলি নয়, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসিরহাট, স্বরূপনগর, হিঙ্গলগঞ্জ, বাদুড়িয়া, মিনাখাঁ, স্বরূপনগর, ক্যানিং, ভাঙড়, গোসাবা, কুলতুলি, মগরাহাট, মেটিয়াবুরুজেও ডেমোগ্রাফি বদলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি,বিহারে নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের জন্য যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাতে লক্ষ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের নাম পাওয়া গিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, ওই অনুপ্রবেশকারীরা মূলত বাংলাদেশ এবং নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বিহারে ঢুকেছেন। কমিশনের কাছে তাঁর আবেদন, অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন বাংলাতেও ভোটার তালিকার সংশোধনের জন্য বিহারের মতো বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করুক। একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সীমান্ত সুরক্ষার গাফিলতির অভিযোগ তুলে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-কে দুষেছেন। যদিও এ দিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, সীমান্তে কাঁটা তার লাগানোর জন্য রাজ্য বিএসএফ-কে ৫৪০ কিলোমিটার জায়গা দেয়নি। ২০১৬ সাল থেকে ভারত সরকার, স্বরাষ্ট্র দপ্তর এবং বিএসএফ সেই জমি পাওয়ার জন্য লাগাতার অনুরোধ করে এসেছে বলেও দাবি তাঁর। সম্প্রতি বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্য যেমন ওডিশা, দিল্লি, অসমে বাঙালিদের বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে, এই অভিযোগে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ নেতারা। যদিও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, ‘এই বিষয়টি ট্যুইস্ট করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারাও বাংলাদেশে কয়েকবছর থেকে বাংলায় কথা বলা শিখে এসেছে। যাঁরা প্রকৃত ভাবে এ দেশের বাসিন্দা, বাংলা বা অন্য ভাষায় কথা বলেন, স্ক্রুটিনির পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে সমস্ত রোহিঙ্গা জাল জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করে, এপিক, আধার তৈরি করে, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এটা দেশ বাঁচানোর লড়াই।’

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement