রিও ডি জেনিরো: চোট কাটিয়ে ফিরেই আলো ছড়ালেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। চুক্তি নবায়নের পর মাঠে নেমেই গোল ও অ্যাসিস্টে সান্তোসকে এনে দিলেন জয়। এই ম্যাচ দিয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয়েছে সান্তোস ও ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রবিনিওর ছেলে রবিনিও জুনিয়রের। ম্যাচে একটি গোল করিয়েছেন তিনি। ব্রাজিলের এসপিরিতো সান্তোর ক্লেবার আন্দ্রাদে স্টেডিয়ামে দেসপোরতিভা ফেরোভিয়ারিয়াকে ৩–১ গোলে হারিয়েছে সান্তোস। ৩৩ বছর বয়সী তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার ছিলেন ম্যাচের মূল আকর্ষণ। শুরুতেই তার পুরোনো ছন্দ দেখা গেছে মাঠে। যদিও প্রতিপক্ষের বেশ কিছু কঠিন ট্যাকলের মুখে তাকে কিছুটা উদ্বিগ্ন মনে হচ্ছিল, তবুও পেনাল্টি থেকে সঠিক লক্ষ্যে শট নিয়ে দলের প্রথম গোলটি করেন তিনি। এটি সান্তোসে ফেরার পর নেইমারের চতুর্থ গোল। শুধু গোল করেই থেমে থাকেননি নেইমার, অ্যাসিস্টও করেছেন গিয়ের্মের গোলে। এই ম্যাচে তার পায়ের কারিকুরিও নজর কেড়েছে দর্শকদের। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষকে পিছনে ফেলে ‘সোমব্রেরো’ স্টাইলে বল নিয়ে এগিয়ে যান নেইমার। প্রথমার্ধের বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নেইমার। বলেন, ‘এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল, কারণ আমরা অনেক দিন মাঠের বাইরে ছিলাম। ম্যাচ ফিটনেস ফেরানো দরকার ছিল। এখন আগের চেয়ে শারীরিকভাবে অনেক ভালো লাগছে, এটা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।’ দ্বিতীয়ার্ধে আর মাঠে নামেননি নেইমার। তার জায়গায় খেলেন পদুলা। প্রতিপক্ষ দেসপোরতিভা ফেরোভিয়ারিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মারিয়ানো। পরে সান্তোসের হয়ে রবিনিও জুনিয়রের পাস থেকে গোল করেন দিয়েগো পিতুকা। তবে শেষ পর্যন্ত খেলা পণ্ড করে দেন দর্শকরা। ৮৫ মিনিটে কিছু দর্শক মাঠে ঢুকে পড়লে ম্যাচটি অসমাপ্ত অবস্থাতেই বন্ধ করে দিতে হয়। এই জয়ের পর কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসে ফিরেছে সান্তোস। বর্তমানে তারা ব্রাসিলেইরাও টেবিলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম স্থানে রয়েছে। আগামি সপ্তাহে তাদের পালমেইরাসের বিপক্ষে ডার্বি ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি স্থগিত করেছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। সান্তোসের পরবর্তী ম্যাচ ১৬ জুলাই, ভিলা বেলমিরোতে, প্রতিপক্ষ ফ্লামেঙ্গো।