‘জরুরি অবস্থা’র দিনগুলির কথা স্মরণ করিয়ে ফের কংগ্রেসকে খোঁচা দিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে জরুরি অবস্থার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জরুরি অবস্থাকে ‘দেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, তাঁরা কেবল সংবিধানের চেতনাকেই হত্যা করেননি, বরং দেশের বিচারব্যবস্থাকে পুতুলে পরিণত করেছিলেন।’’ ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। এ বছর ছিল জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি। বিজেপি দেশ জুড়ে এটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করেছে। রবিবার ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানেও সেই জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কংগ্রেসকে নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই তাঁদের স্মরণ করতে হবে, যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। এই লড়াই আমাদের সংবিধান রক্ষার ক্ষেত্রে আরও সজাগ থাকার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করে।’’ রবিবার ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠান চলাকালীন দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জরুরি অবস্থার সময়কার অডিয়োবার্তা শোনানো হয়। সেই অডিয়োবার্তায় বাজপেয়ীরা জরুরি অবস্থায় মানুষের উপর অত্যাচারের কথা বর্ণনা করেছিলেন। এরই পাশাপাশি আরও নানা বিষয় রবিবার মোদীর রেডিও বার্তায়। তিনি জানান, ট্রাকোমা নামের চোখের অসুখটি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছে দেশ। তাঁর কথায়, ”আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে ভারত ট্রাকোমা থেকে মুক্ত হয়েছে। এটি চোখের একটি অসুখ।” পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যোগ দিবস নিয়েও এদিন বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ”প্রতি বছরের মতো এবারও ২১ জুন কোটি কোটি মানুষ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে অংশ নিয়েছিলেন। ১০ বছর আগে এটা শুরু হয়েছিল। প্রতি বছরই এটা আরও জমকালো হয়ে উঠছে।”