একরাশ ক্ষোভ মৃতদের আত্মীয়-পরিজনদের

IMG-20250614-WA0077

আহমেদাবাদ: পেরিয়েছে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি। অভিশপ্ত বিমান দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন প্রিয়জনদের। কেউ হারিয়েছেন সন্তানকে। কেউ স্ত্রীকে। কেউ আবার স্ত্রী-সন্তান হারিয়ে নিঃস্ব। স্বজনহারানো বেদনা নিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আহমেদাবাদের বিজে হাসপাতালের সামনে। এখনও দেহ পাননি তাঁরা। ডিএনএ পরীক্ষা সাহায্যে দেহ শনাক্তের জন্য দিচ্ছেন নমুনা। কিন্ত রিপোর্ট আসতে ৭২ ঘণ্টা। কেন এত দেরি ও হাসপাতালের ব্যবস্থা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন মৃতদের আত্মীয়-পরিজন। বিমান দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হারিয়েছেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা জাভেদ। তাঁর স্ত্রীর দেহ শনাক্তের জন্য নমুনা দিয়েছেন স্ত্রীর কাকা। নেওয়া হয়েছে রক্ত ও অন্যান্য নমুনা। জানতে পেরেছেন ৭২ ঘণ্টার পর সেই রিপোর্ট আসবে। তারপর মৃতের আত্মীয়দের একে একে ফোন করে জানানো হবে। বিভিন্ন নিয়ম মানার পর দেহ হাতে পাবেন তাঁরা।কেন লাগবে দীর্ঘ সময়? তা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন জাভেদের কাকাশ্বশুর। সঙ্গে বিভিন্ন কাজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও সহযোগিতা করছেন না বলেও অভিযোগ তুলেছেন মৃতের আত্মীয়রা। কেন লাগবে এত সময়? জানা যাচ্ছে, মৃতদের আত্মীয়র থেকে নমুনা সংগ্রহের পর তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে গান্ধীনগরের গবেষণাগারে। সেখান থেকে ৭২ ঘণ্টা পরে রিপোর্ট এসে পৌঁছবে বিজে হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। সেখান থেকে তা পৌঁছবে সিভিল হাসপাতালের কাসৌটি ভবনে। সেখান থেকে একে একে ফোন করে জানানো হবে মৃতের আত্মীয়দের। আর এই দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা নিয়েই ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন মৃতের আত্মীয়রা।এছাড়াও কী করে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের মতো নিরাপদ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। যান্ত্রিক সমস্যা থাকলে আগে কেন ধরা পড়ল না। দ্রুত দুর্ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জাভেদ ও তাঁর পরিবার।এদিকে ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। আজ, শনিবার ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও দেহ উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করছে তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিরা।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement