তৃণমূলে গুরুত্ব বাড়ল সব্যসাচীর, পদ পেলেন কাশেম সিদ্দিকী

IMG-20250609-WA0219

পরের বছরেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের জেলা সংগঠনে ফের রদবদল। সোমবার বারাসত সাংগাঠনিক জেলার চেয়ার পার্সন এবং সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। জেলা সভাপতি পদে আবারও কাকলি ঘোষদস্তিদারকে বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে দায়িত্ব বাড়ল সব্যসাচী দত্তের। বারাসত জেলা চেয়ারপার্সন পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। দলবদল করে তৃণমূলে বড় পদ পেলেন প্রাক্তন কংগ্রেসি শংকর মালাকারও। গত ১৬ মে জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারপার্সনদের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। রাজ্যের বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার সাংগঠনিক পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হয় দলের তরফে।উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলের চারটি সাংগঠনিক জেলা। বসিরহাট, দমদম, বনগাঁ ও বারাসত। বাকি তিনটির জেলা সভাপতি ও চেয়ারপার্সনদের নাম ঘোষণা করা হলেও, সেই তালিকায় ছিল না বারাসতের নাম। বলা হয়েছিল, পরে ঘোষণা করা হবে। সেই মতো সোমবার কাকলি ঘোষদস্তিদার ও সব্যসাচী দত্তের নাম ঘোষণা করা হয়।অন্য দিকে রাজ্য কমিটিতে আনা হলো সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শঙ্কর মালাকারকে। সহ-সভাপতি পদে বসানো হলো তাঁকে। কাসেম সিদ্দিকীকে জেনারেল সেক্রেটারি করা হয়েছে।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক করা হল। এদিন ঘাসফুল শিবির প্রেস বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। একইসঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা শঙ্কর মালাকারকে দলের রাজ্য সংগঠনের সহসভাপতি ঘোষণা করা হল। ২০২৩ সালে নওশাদ সিদ্দিকীকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর নিয়মিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতেন কাশেম। সেই কাশেমকেই রমজান মাসে পরপর ২ দিন ইফতারে মমতার পাশে দেখা যায়। এবার কি ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তৃণমূলের রসায়নে নতুন তাস হয়ে উঠবেন কাশেম? সেই জল্পনাকে এদিন আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement