মালিগাঁও: উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আজ মালিগাঁওস্থিত রঙ ভবনে বিশ্বব্যাপী থিম “প্লাস্টিক দূষণের অবসান” গ্রহণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উদযাপন করে। অনুষ্ঠানটি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এবং নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে উইমেন্স ওয়েলফেয়ার অরগেনাইজেশন (এনএফআরডব্লিউডব্লিউও)–এর সভানেত্রী শ্রীমতী শালিনী শ্রীবাস্তবের দ্বারা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানের একটি মুখ্য আকর্ষণ ছিল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এবং কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণের উপর সহযোগিতামূলক গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য একটি সমঝোতা চুক্তি (মউ) স্বাক্ষর। উদযাপন অনুষ্ঠানে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার এবং বরিষ্ঠ আধিকারিক উপস্থিতি ছিলেন। ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) এবং অন্যান্য ডিভিশনাল অফিসার তাদের নিজ নিজ স্থান থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন, যাতে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তাটি সমগ্র উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জুড়ে কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়।সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন শ্রী এম. কালিমুথু, চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা) এবং কটন বিশ্ববিদ্যালয়, গুয়াহাটির প্রতিনিধিত্ব করেন ডঃ অরিন্দম গর্গ, রেজিস্ট্রার। এই সমঝোতা চুক্তিটি জলবায়ু অনুকূল পরিকাঠামো, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত স্থায়ী পরিবহন সমাধানের মতো প্রধান ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতামূলক গবেষণা ও উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করে। এই অংশীদারিত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ভারতীয় রেলওয়ের মধ্যে সমন্বিত পরিবেশগত তত্ত্বাবধান এবং জ্ঞান বিনিময়ের দিকে একটি প্রগতিশীল পদক্ষেপের ইঙ্গিত বহন করে। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ পশ্চিম রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার শ্রী অজয় সিং একটি অতিথি বক্তৃতাও উপস্থাপন করেন, যিনি স্টেশন ক্যাফেটেরিয়াগুলিতে প্লাস্টিক প্যাকেজিং নির্মূল করার ওপর অন্তর্দৃষ্টি শ্বেয়ার করেন। এনএফআর স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস দ্বারা পরিবেশিত “বিট প্লাস্টিক পলিউশন” শীর্ষক একটি বিষয়ভিত্তিক নাটকে একটি ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতলের ক্ষতিকারক জীবনচক্র চিত্রিত করা হয় এবং দর্শকদের “রিডিউস, রিইউজ, রিসাইকল” গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়। সমাপ্তী ভাষণে, জেনারেল ম্যানেজার স্থায়ীত্বের প্রতি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নিষ্ঠা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং নতুন পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপের ঘোষণা করেন, যার মধ্যে ৫০টি প্রধান স্টেশনে প্লাস্টিক সংগ্রহের পাত্র স্থাপন এবং রেলওয়ে ওয়েটিং রুমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য চায়ের কাপ চালু করা রয়েছে।বিশেষভাবে নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে প্লাস্টিকের পানির বোতল নির্মূল, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রিফিলযোগ্য পানির স্টেশন স্থাপন এবং ক্যাটারিং পরিষেবায় বায়োডিগ্রেডেবল বিকল্প গ্রহণের বিষয়ে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের চলমান পদক্ষেপগুলি প্রদর্শন করা হয়। একই সাথে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্লাস্টিক-হ্রাস কৌশল, পুনর্ব্যবহারযোগ্য অংশীদারিত্ব এবং পরিবেশবান্ধব সাফল্যের গল্প তুলে ধরা একটি পরিবেশগত পুস্তিকাও রিলিজ করা হয়।কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা চুক্তি থেকে শুরু করে নাটক, বক্তৃতা এবং প্লাস্টিক হ্রাসের পদক্ষেপ পর্যন্ত এই সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে একটি পরিষ্কার, সবুজ এবং অধিক স্থায়ী ভবিষ্যত নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।