নয়াদিল্লি: লাগাতার পাকিস্তানের জঙ্গি হানা, অপারেশন সিঁদুর এবং ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি। সব কিছু নিয়ে সরকারের ‘জবাবদিহি’ চায় বিরোধীরা। সেই লক্ষ্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিল ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবির। তৃণমূলের উদ্যোগে ‘একজোট’ হয়ে ১৬টি দল ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। সরকারের উপর চাপ বাড়াতেই সম্মিলিতভাবে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের পরে সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের তরফে বিদেশে যে ৩২টি সর্বদলীয় সাংসদ প্রতিনিধিদল বিদেশে পাঠানো হয়েছে তারা ফিরে আসার পরে জুন মাসের মাঝামাঝি সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি করছেন ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে তৃণমূল আগেই সরব হয়েছিল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ সফর থেকে প্রতিনিধিদল ফিরলে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানানোর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। প্রায় ১৬টি রাজনৈতিক দল তথা ইন্ডিয়া জোটকে নিয়ে এ বিষয়ে একসঙ্গে নিয়ে চলার ভাবনার ক্ষেত্রেও তৃণমূলই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।মঙ্গলবার এ নিয়ে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি-সহ ইন্ডিয়া জোটের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শরিক দলই যোগ দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দীর্ঘদিন বাদে এই ইস্যুতে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের একজোট করা সম্ভব হয়েছে। আর সেটা হয়েছে তৃণমূলেরই উদ্যোগেই। এদিনের বৈঠকে যে ১৬টি দল যোগ দিয়েছিল, তারা সম্মিলিতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এই ১৬টি দলের বাইরে আম আদমি পার্টি নিজেদের মতো করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলছেন, “আমরা বিশেষ অধিবেশনের দাবিটা আমরা এ কারণেই করছি, কারণ সরকার সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। আর সংসদ সাধারণ নাগরিকের কাছে দায়বদ্ধ। সুতরাং, সরকারকে সংসদে এসে জবাবদিহি করতেই হবে।