স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঢালাও দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগে গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় কোর্ট। তবে ফের পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারারা। সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন চাকরিহারারা। ছ’জন প্রতিনিধি সেই সময় পরিষ্কার শিক্ষা সচিবকে স্পষ্ট করেন নিজেদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে। পরীক্ষা ছাড়াই যোগ্য শিক্ষকদের তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল রাখা যায়, সেই ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় বিশেষ সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ৩১ মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে হলফনামা পেশ করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ মেনে ৩০ মে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১৬ জুন থেকে অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া হবে। ১৪ জুলাই পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শেষ হবে। এবং ২০ নভেম্বর থেকে কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ৩০ মে শিক্ষকদের নোটিফিকেশন হবে। তারপর গ্রুপ-সি–গ্রুপ ডি দেখব। একইসঙ্গে তিনি জানান, শিক্ষা দফতরে লোক দরকার। ঘণ্টা বাজানো, রুম পরিষ্কারের লোক দরকার, তালা বন্ধ করার লোক নেই এই ঘটনার ফলে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নতুন শিক্ষক পদ তৈরি হয়েছে আরও ৬৯১২টি। এ ছাড়া গ্রুপ সি পদে নতুন ৫৭১ এবং গ্রুপ সি পদে নতুন ১০০০টি পদ তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৪২০৩টি শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে।
তাঁর কথায়, “আপনাদের বুঝতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট যে অর্ডার দিয়ে গেছে সেটা যদি পালন না করি, তাহলে ওরা বলে দিতে পারে, তোমাদের তো অর্ডার দিয়েছিলাম। তোমরা শোনোনি। তাই সবটাই বাতিল। তাই এটা করতে হচ্ছে। যদি রিভিউ পিটিশনে বলে, কারও চাকরি বাতিল করা হবে না। তাহলে তো কোনও অসুবিধা নেই।”