শিলিগুড়ি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মানুষকে আশা দিয়ে গেছেন। আর কিছুই দিতে পারেননি , আজকে নিজের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে ঠিক এই ভাষায় জানালেন বিধায়ক সংকর ঘোষ। তিনি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস একটা ঘরের মধ্য দিয়ে চলেছে। মানুষকে ঠকিয়ে কোন কাজ হয় না । মানুষকে আশা দিয়ে ভরসা করে দিনের পর দিন মানুষকে প্রবঞ্চনা করে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস দল। আর এইভাবে বেশি দিন চলতে পারা যায় না। ফল মানুষকে ভুগতেই হবে। দিনের পর দিন মানুষ ভুগছে, মানুষের সাথে বুকে বয়স্ক এবং অসহায় মহিলারা। তাই মানুষের কাজ মানুষকে করতে দিতে হবে। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা এসেছেয় মানুষের ভালো কাজ এবং খারাপ কাজ তৃণমূল কংগ্রেস ভালোভাবেই জানে। তৃণমূল কংগ্রেস শুধু প্রবঞ্চনা করেনি মানুষকে অন্য দিশাতে নিয়ে গেছে। নিজের অফিসে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে বিষাদগার করলেন বিধায়ক সংকর ঘোষ। জানালেন আগামী বিধানসভার আগে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাতে কাঁপুনি ধরে যাবে। আপনারা শুধু দেখতে থাকুন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিধায়ক জানতে চাইলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা। বিধায়ক জানালেন আমার দায়িত্ব আমি অবশ্যই পালন করব। কারণ মানুষ আমাকে দেখে ভোট দিয়ে আমাকে এই জায়গাটায় নিয়ে এসেছেন। আমার কর্তব্য এই জায়গাটা মানুষের জন্য উৎসর্গ করা। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার মানুষকে শুধু বঞ্চনাই করে গেল, মানুষকে আশ্বাস দিয়ে গেল অথচ কাজের কাজ কিছুই হলো না। এই সরকারের অবিলম্বে চলে যাওয়া উচিত, আমি শিলিগুড়ি শহরের ৪৭ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মুখের কথা শুনবো। সমস্যাগুলো বুঝে উঠতে চেষ্টা করব, এবং অবশ্যই তার সমাধান করব। কারণ সমস্যা না সমাধান হলে মানুষ এগোবে কিভাবে? আজকে আমি এখানে এসেছি মানুষের সাথে আলোচনা করে মূল বিষয়গুলো জেনে তার সমাধান করার। এই দিন বিধায়ক শিলিগুড়ির একটি ওয়ার্ডে তার সমর্থক এবং কর্মীদের নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যান। বাসিন্দারা তাকে দেখে তাদের সমাধানের কথা বলেন। অনুরোধ করেন, এবং বিধায়ক কথা দেন দেখে নেবেন।