তিনদিনের বাস ধৰ্মঘটের ডাক মালিক সংগঠনের, তৎপর পরিবহণ

IMG-20250520-WA0189

সপ্তর্ষি সিংহ

বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত বাস ধর্মঘটের কথা ঘোষণা করেছে বেসরকারি বাসের মালিকদের একাধিক সংগঠন। এই বিষয়ে সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। কিন্তু বৈঠকে বেরলো না কোনও সমাধান সূত্র। পরিবহণ সচিব-সহ সমস্ত ডিসি-দের নিয়ে বৈঠক নিষ্ফলা রইল। বাস মালিক সংগঠনগুলি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, চলতি সপ্তাহে, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার হচ্ছে বাস ধর্মঘট। এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন পরিবহণ বাঁচাও কমিটির অন্তর্গত জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস–মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো–অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড ইন্টার রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন
এই বিষয়ে বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহার পথ বেরোয়নি। এরপর পরিবহণ সচিব-সহ ডিসি ট্রাফিকরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাস মালিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
সংগঠনগুলির দাবি, মেয়াদ উত্তীর্ণ বাসের দু’বছরের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। বাড়াতে হবে ভাড়া। বন্ধ করতে হবে পুলিশের জুলুম। এর আগে একাধিক বার ধর্মঘটে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেও পিছিয়েছেন বেসরকারি মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু জানান যে, “আজকের বৈঠকের পরেও কোনও ইতিবাচক দিক না-মেলায় এখনও পর্যন্ত বাস মালিকপক্ষ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ৭২ ঘণ্টার বাস ধর্মঘটে অনড় থাকছে। তবে এখনও বাস মালিকরা নিজেরা বৈঠক করছেন। ধর্মঘটের রূপরেখা ঠিক কেমন হবে সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে।”
এই বিষয়ে সংগঠনগুলির দাবি, ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে হবে, কারণ কোভিড-১৯ মহামারীর সময় দু’বছর বাস চলাচল বন্ধ ছিল। পাশাপাশি, পুলিশি হয়রানি এবং ইচ্ছামতো টোল ট্যাক্স আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধি এবং অন্যান্য সমস্যার সমাধান চেয়ে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এগুলি তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement