রাষ্ট্রপতির কাছে মোদী, সর্বদল বৈঠক

IMG-20250507-WA0269(1)

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় বাহিনী। পাকিস্তানের ন’টি জায়গায় হামলা চালিয়ে একাধিক জঙ্গিশিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার দফায় দফায় তিনি বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে সবটা জানান। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আজ সর্বদল বৈঠকও ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সকাল ১১টায় হবে ওই বৈঠক। এদিকে অপারেশন সিন্দুরের পর ইউরোপ সফর বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী । সূত্রের খবর, চলতি মাসেই ক্রোয়েশিয়া, নরওয়ে এবং নেদারল্যান্ডসে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেই সফর বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের পর পালটা আঘাত হানতে পারে পাকিস্তানও। এই আশঙ্কার কথা ভেবেই দেশের এহেন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে দেশেই থাকতে চান প্রধানমন্ত্রী। অপারেশন সিন্দুর নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি নরেন্দ্র মোদী। তবে যেভাবে শত্রুর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা, তাতে গর্বিত তিনি।বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর তারিফ করে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সূত্রের খবর, মোদী ওই বৈঠকে বলেছেন, যে যে লক্ষ্যে প্রত্যাঘাত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল, তার সবটাই সফল ভাবে করতে পেরেছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। কোনও ক্ষেত্রেই তারা ব্যর্থ হয়নি।‘অপারেশন সিন্দুর’ চলাকালীন রাত জেগে তত্ত্বাবধান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামটিও তাঁরই দেওয়া বলে জানা গিয়েছে। যে হেতু পহেলগাঁওয়ে স্ত্রীদের সামনে স্বামীদের হত্যা করা হয়েছিল, সেই প্রেক্ষাপট থেকেই এই নামকরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকশেষে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছোন রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সবিস্তার জানান।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement