ডা: উপাসনা পালো, সহযোগী পরামর্শদাতা, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি, নারায়ণ হাসপাতাল (আরএন টেগোর হাসপাতাল) মুকুন্দপুর
মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য বাড়ছে উদ্বেগ। প্রতি বছর ৬৭,০০০-এরও বেশি মৃত্যুর জন্য সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার দায়ী, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মহিলাদের নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং প্রতিরোধমূলক বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করার কথা বলছেন।
ভারতীয় মহিলাদের জন্য সার্ভাইক্যাল এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার
আক্রান্তের প্রবণতা বাড়ছে। ভারতে স্ত্রীরোগজনিত ক্যান্সার মহিলাদের জন্য একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে সার্ভাইক্যাল ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার অন্যতম। সচেতনতা বাড়লেও, ভারতে প্রতি বছর ১.২ লক্ষেরও বেশি নতুন সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের ঘটনা ঘটে, যার ফলে ৬৭,০০০-এরও বেশি মৃত্যু হয়। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত স্ক্রিনিং, টিকা এবং প্রাথমিক পরামর্শের ওপর জোর দিচ্ছেন।
বিশ্বব্যাপী ২০–৬০ শতাংশ ক্যান্সার খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার জন্য দায়ী। বিশেষ করে এন্ডোমেট্রিয়াল এবং ডিম্বাশয় ক্যান্সারে স্থূলতা এবং খারাপ পুষ্টি বড় ঝুঁকির কারণ। একমাত্র স্থূলতাই প্রায় ৪০% এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের সঙ্গে যুক্ত। ফলমূল ও শাকসবজির কম গ্রহণ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত খাওয়া ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণ ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩০% পর্যন্ত কমাতে পারে।
নতুন পদ্ধতিতে
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন চিকিৎসা অনেক বেশি কার্যকর। সার্জনরা জটিল অস্ত্রোপচার করতে সক্ষম। কিছু ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কপি বা রোবোটিক্সের মাধ্যমে মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারি দ্রুত সুস্থতার সুযোগ দেয়। কিছু উন্নত ক্ষেত্রে, উষ্ণ কেমোথেরাপি সরাসরি পেটের মধ্যে দেওয়া হয় যাতে ক্যান্সার কোষগুলি আরও কার্যকরভাবে ধ্বংস হয়। অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি টার্গেটেড ওষুধ এবং ইমিউনোথেরাপির মতো নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিও ব্যবহার করা হচ্ছে।