পাথরপ্রতিমা: সকাল থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথর প্রতিমা ব্লকে সেলেমারি নদীর উপর বাঁশ দিয়ে তৈরি ভাঙ্গা সাঁকোটি গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত ও দূর্বাচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের “গোপালকৃষ্ণ মিলন সেতু” হিসেবে চিহ্নিত। প্রায় পঞ্চাশ মিটারের দৈর্ঘ্যের এই সেতুটির উপর প্রতিদিন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী দুটি বড় বড় বাজারের লোকজন ও কয়েক হাজার সাধারণ যাত্রী যাতায়াত করেন। এই সেতুর বেহাল দশা হওয়ার কারণে প্রায় ৭ কিলোমিটার ঘুরে প্রয়োজনীয় কাজে যেতে হয় এলাকার মানুষজনের। সুন্দরবনের এই সেতু প্রায় ৩৬ বছরে মাঝে একটি স্থান পরিবর্তন হয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি ছিল এই সেতুটি কংক্রিটের হোক। কিন্তু স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ দূর্বাচুটি গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আছে, বামফ্রন্ট আমল থেকে এখনো পর্যন্ত।অন্যদিকে গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত শাসকদলের হলেও গোপাল নগরের যে জায়গাটি তে সেতু আছে তার আশেপাশে বিজেপি সদস্য জেতায় শাসক দলের অবহেলা বা চক্ষুশুল হয়ে ওঠে এই ব্রিজটি। ফলে এই ভগ্ন সেতুটির উপর দিয়ে সাইকেল, অসুস্থ রোগী কে দোলায় বসিয়ে নিয়ে যাওয়া, মহিলাদের কলের জল আনা, বাজারের মালপত্র নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। ভোটের আগে সমস্ত দলই কথা দেয় সেতু হবে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সভাপতি, এমএলএ থেকে জেলা পরিষদ, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ও চিঠি দিয়েছেন বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন। কিন্তু ভোট চলে গেলেই সবাই ভুলে যায়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেতু না হলে এলাকায় ভোট বয়কট হবে বলেও হুমকি দিতে ছাড়েনি এলাকাবাসী। এখানে কোন কাজ না হওয়ায় শাসক দলের সমর্থকরা ও ক্ষোভে ফুসছে তাদের দলের এই কর্মকাণ্ড দেখে। তাই যাতে তাড়াতাড়ি এই ব্রিজটা হয় তার জন্য শাসক বিরোধী সকলেরই দাবি।