শহরে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী মেয়র

IMG-20250425-WA0174

কলকাতা পুরসভার ১০-১২ নম্বর বরোতে ভূগর্ভস্থ জল তোলা হচ্ছে। বর্তমানে ভূগর্ভস্থ জল ৭.৭ মিলিয়ন গ্যালন ব্যবহার করা হয়। যে জল প্রকল্পগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে কম ভূগর্ভস্থ জলের প্রয়োজন হবে। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে কাউন্সিলর ড. মীনাক্ষি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, এই বরোগুলিতে তিনটে জল প্রকল্পের জন্য ২৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ৫২টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন গড়ে তোলা হয়েছে। শহরবাসীর প্রত্যেকদিনের জলের চাহিদা ৫১৫ মিলিয়ন গ্যালন। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন হলে অ্যাডেড এলাকায় জলের সমস্যা অনেকাংশে মিটবে। কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে’র প্রশ্নের উত্তরে বর্জ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার বলেন, বর্তমানে ধাপায় যেখানে বর্জ্য ফেলা হয়, সেখানে বিজ্ঞানসম্মত ল্যান্ডফিল তৈরি করা যায়নি। সেখানে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা এড়াতে কলকাতা পুরসভা স্প্রিংলার দিয়ে জল দিচ্ছে। দমকল থেকেও জল দেওয়া হচ্ছে। দেবব্রত মজুমদার আরও বলেন, হাওড়ার মতো ভয়াবহ অবস্থা কলকাতার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নেই। মেয়র পারিষদ সদস্য আরও বলেন, মিথেন গ্যাস অত্যন্ত দাহ্য, সেখান থেকে আগুন যাতে না বেরোয় সেই চেষ্টাই করি। নিয়মিতভাবে আমরা মাটি পরীক্ষা করি না। যখন প্রয়োজন হয়, তখনই আমরা মাটি পরীক্ষা করি। দেবব্রতবাবু আরও বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের জন্য আমরা কারও থেকে পয়সা নিই না। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছ থেকেই বর্জ্য সংগ্রহের জন্য কর সংগ্রহ করা হয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য কর সংগ্রহ করে।কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, পরিবারের কেউ মারা গেলে সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন কাউন্সিলররা। অনেক ক্ষেত্রে কাউন্সিলররা এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আদালতের দ্বারস্থ হতে বলছেন। আদালত থেকে তাদের বলা হচ্ছে, স্থানীয় কাউন্সিলরের দ্বারস্থ হতে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে। মেয়র এক্ষেত্রে বলেন, কাউন্সিলরদের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও একটি প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, কমপ্লিশন সার্টিফিকেট ছাড়া আবাসন তৈরি করলে ২০০৯ সালের ৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারকে নোটিশ দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী সিসি ছাড়া কোনওভাবেই বাড়ি তৈরি করা যাবে না। ৪০৩ ধারায় ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement