২০ বছর পর ‘ভাব’ হচ্ছে উদ্ধব ও রাজ ঠাকরের! জল্পনা

IMG-20250420-WA0329

মহারাষ্ট্রের স্বার্থে কি এক হতে চলেছেন রাজ ও উদ্ধব ঠাকরে? দুই তুতোভাই নাকি এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর সেই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রে। জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে, তাহলে কি আবার এক হবে ঠাকরে পরিবার? হাত মেলাবেন উদ্ধব এবং রাজ ঠাকরে? ২টি আলাদা অনুষ্ঠানে উদ্ধব ঠাকরে এবং রাজ ঠাকরে ২ জনেই এমন বার্তা দিয়েছেন যে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে মহারাষ্ট্রের ভাষা ও সংস্কৃতি। বিষয়টি নিয়ে আরও মুখ খুলেছেন রাজ ঠাকরে। মহেশ মঞ্জেরেকরের পডকাস্টে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, উদ্ধবের সঙ্গে তাঁর মিলমিশ হয়ে যেতে পারে কি না। সেখানে রাজ ঠাকরে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে উদ্ধবের মতান্তর মহারাষ্ট্রের স্বার্থের কাছে কিছুই না। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে উদ্ধবের ঝামেলা খুবই ছোট ব্যাপার। মহারাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ঝামেলায় মহারাষ্ট্র এবং মারাঠিদের জন্য ক্ষতি হয়েছে। একসঙ্গে আসা কঠিন নয়, ইচ্ছে থাকলেই হবে। আমাদের সবকিছু ঊর্ধ্বে উঠে ভাবতে হবে। সব রাজনৈতিক দল থেকে এসে মারাঠিদের একটি আলাদা দল তৈরি করা উচিত।’ ২০০৫ সালে শিব সেনা থেকে বেরিয়ে এসে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা তৈরি করেছিলের রাজ ঠাকরে। বলা হয়েছিল, সেই সময়ে শিব সেনার মাথায় উদ্ধব ঠাকরে বসায় তা মানতে পারেননি রাজ ঠাকরে। তার পরে ২০২২ সালে উদ্ধবের শিব সেনা ভেঙে বেরিয়ে যান একনাথ শিন্ডে, কিন্তু আদতে শিব সেনাকেই দখল করে নেন একনাথ। দলের পুরনো প্রতীক এবং নাম তাঁর হাতেই রয়েছে এখন। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাও দখল করেছেন। এই ২টি ঘটনা বিষয়গত এবং আদর্শগত ভাবে আলাদা বলে দাবি রাজ ঠাকরের। তবে উদ্ধবের শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে জোট নিয়ে উদ্ধব এবং রাজের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি। হয়েছে শুধুই আবেগপূর্ণ কথাবার্তা। সঞ্জয় বলেন, ‘‘রাজ এবং উদ্ধব দুই ভাই। আমরা বহু বছর একসঙ্গে ছিলাম। আমাদের সম্পর্ক কখনওই ভাঙেনি। জোট নিয়ে যা ঠিক করার দুই ভাই-ই করবেন। উদ্ধবজি বলেছেন, মহারাষ্ট্রের জন্য যদি আমাদের কাছাকাছি আসতে হয়, তা হলে তা-ই করা হবে।’’ মহারাষ্ট্রের রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অনেকেরই ধারণা ছিল, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরে হয়তো তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে ভাইপো রাজকেই বেছে নেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বালাসাহেব তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে পুত্র উদ্ধবকেই বেছে নেন। অভিমানে শিবসেনা ত্যাগ করেন রাজ। ২০০৫ সালে গড়ে তোলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। তার পর থেকে উদ্ধব ও রাজ সব সময়েই বিপরীত শিবিরে। শিবসেনার সর্বশেষ ভাঙনের পর ঠাকরে পরিবারের এই পুনর্মিলনের সম্ভাবনা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড় এনে দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement