ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার অশান্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। সামশেরগঞ্জে বাড়ি থেকে বাবা-ছেলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় আগেই কালু ও দিলাবর নাদাব নামে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বুধবার রাতে ইনজামাম উল হক নামে আরও একজনকে সুতি থেকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।
সুপ্রতিমবাবু জানিয়েছেন, গত চার দিনে জেলায় নতুন করে অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। শমসেরগঞ্জ, সুতি এবং ধুলিয়ানের মতো উপদ্রুত এলাকায় বৃহস্পতিবার ৭০ শতাংশ দোকানপাট খুলে গিয়েছে। শুক্র বা শনিবারের মধ্যে বাকি দোকানও খুলে যাবে।
বুধবার রাতের মধ্যেই মুর্শিদাবাদে পৌঁছে যান সিটের কয়েক জন সদস্য। পুলিশ সূত্রের খবর, সুতি থানায় তাঁরা একটি বৈঠক করেন। পরে রাতে শমসেরগঞ্জ থানায় আবার বৈঠক হয়।
সুপ্রতিম বাবুর আশ্বাস, ‘‘যারা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের সকলকেই ধরা হবে। কেউ রেহাই পাবে না। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবে রাজ্য পুলিশ।’’
এডিজি দক্ষিণবঙ্গের দাবি, “৮৫ জন ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে এসেছেন। জেলা প্রশাসন যোগাযোগ রাখছেন যাঁরা বাড়ি ছেড়েছেন। তাঁদেরও ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ নিরাপত্তা দেবে। রাজ্য পুলিশের ক্যাম্প আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প আছে। কারও কোনও সমস্যা হবে না। আজ সন্ধ্যায় আরও অনেকের ফিরে আসার কথা।”
তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা ঘর ছেড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে যাতে তাঁরা আবার আগের মতো সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করতে পারেন।